‘মাস্টার অব মাইম’ মার্সেল মার্সো পৃথিবীর সর্বকালের সেরা মূকাভিনয় শিল্পী। ১৯২৩ সালের ২২ মার্চ ফ্রান্সের স্টাসবুর্গ শহরে জন্ম নেন তিনি। মার্সোর প্রিয় ছাত্র ছিলেন আমাদের বাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রবাসী মাইম শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদার। পার্থপ্রতিম মজুমদার বাংলাদেশে প্রথম মূকাভিনয় শিল্পের সূচনা করেন। ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন মার্সেল মার্সো। এ দিনকে স্মরণ করে দিবসটিকে বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
১৯৪৬ সালে মূকাভিনয় পেশায় নাম লিখালেও সাতচল্লিশ থেকে মূকাভিনয়-কাহিনীতে ‘বিপ’ চরিত্রের প্রবর্তন করেন। এর মাধ্যমে মার্সো সারা বিশ্বে পরিচিতি পেতে থাকে। এরপর থেকে বাড়তে থাকে তাঁর জনপ্রিয়তা। তাঁর ‘বিপ’ বিষয়ক কয়েকটি উল্লেখযোগ্য নকশা-মূকাভিনয় হচ্ছে ‘বিপ হান্টস্ বাটারফ্লাই’, ‘বিপ, গ্রেট স্টার অব এ ট্রাভেলিং সার্কাস’, ‘বিপ অ্যাজ এ লায়ন ট্রেমার’, ‘বিপ অ্যাজ এ সোলজার’, ‘বিপ ইন দ্য মর্ডান অ্যান্ড ফিউচার লাইফ’ প্রভৃতি। আধুনিক মূকাভিনয় শিক্ষার অনন্য শিক্ষায়তন ‘লা ইকোল ইন্টারন্যাশনাল ডি মাইমোড্রামা’ তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। যা মূকাভিনয় শিল্পের উৎকর্ষে ভূমিকা পালন করে।
মার্সেল মার্সোর ৯৫তম জন্মবার্ষিকী ও ‘বিশ্ব মূকাভিনয় দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে ২২ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে আয়োজন করা হয়েছে স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত ও আলোচিত মাইমোড্রামা (মূকনাট্য) ‘জাদুর প্রদীপ’। আরব্য রজনী’র অমর কাহিনী ‘আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ’ অবলম্বনে নির্মিত এ মাইমোড্রামার কাহিনী-পুনর্বিন্যাসসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। এ মঞ্চায়নে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ মূকাভিনয় ফেডারেশন।
এতে অভিনয় করছেন জুয়েনা, শিশির, অনিন্দ্য, সোনালী, সামাদ, শ্যামল, আঁচল, জেবু, ঊষা, অন্তর, সবুজ, সম্রাট, অর্ক, সুকুমার, মাসুদ, জাহিদ, বিপুল, আলীসহ অনেকে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনে পালন করা হবে মূকাভিনয় দিবস।