সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. সনজীদা খাতুন। ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন। বাবা সঙ্গীতশিল্পী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. কাজী মোতাহার হোসেন। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে সংসার পাতেন তিনি। তাঁকে বাংলা সংস্কৃতির সাহসী নারী বলা হয়। বলা হয় রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য।
তিনি একাধারে রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী, লেখক, গবেষক, শিক্ষক ও সংগঠক। দেশের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমান সভাপতি। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভিন্নধর্মী শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা’র সভাপতি তিনি।
১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতক এবং বিখ্যাত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আবৃত্তি ও বাচিক শিল্পচর্চা জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন-এরও তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষক হিসেবে সনজীদা খাতুন কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে। তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কারসহ (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) পুরস্কারে ভূষিত হন। কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাঁকে রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য উপাধি প্রদান করেন।
১৯৬১ সালে ছায়ানট-এর জন্ম হয়। তখন তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ছায়ানট ধীরে ধীরে তাঁর হাতে বড় বিদ্যায়তনে রুপ নেয়। সনজীদা খাতুন বেবী মওদুদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথকে পাকিস্তান আমলে যখন অস্বীকার করা হচ্ছে তখন আমরা রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন করে কাজ শুরু করেছি। রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন করার কারণ হলো- তাঁর চারপাশে রয়েছেন, গীতস্রষ্টা, সংস্কৃতিকর্মী, সংস্কৃতিসেবী, শিল্পী, সবাই; রবীন্দ্রনাথ কিন্তু তাদের মধ্যমণি হয়ে আছেন। এই জন্য আমরা রবীন্দ্রনাথকে অবলম্বন করেছিলাম। আমরা বাঙালী সংস্কৃতির উজ্জীবনের কথা ভেবেছি।