নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। অসংখ্য কালজয়ী গানের এই স্রস্টার প্রয়ালদিবসে তাঁকে স্মরণ করছে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সুধীজন ও তার সঙ্গীতপ্রেমী ভক্তরা।
গুনী এই শিল্পীর মৃত্যুদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা।
লাকী আখন্দের কালজয়ী গানগুলো এখনও মানুষের মুখেমুখে ফেরে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে: নীল মনিহার, আমায় ডেকো না, মা মনিয়া, পলাতক, সুমনা, নীলা প্রভৃতি।
লাকী আখন্দ ছোটবেলা থেকেই গান শেখা শুরু করেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে এইচএমভি’র সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। সেই সময় থেকেই সঙ্গীত জগতে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে আধুনিক বাংলা গান ক্যাটাগরিতে ‘ পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল’- এর প্রথম পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
এরপর থেকে একটার পর একটা প্রাণস্পর্শী গান গেয়ে নিজের অবস্থানকে উচ্চকিত করে গেছেন। তার গানের প্রথম এ্যালবাম ‘লাকী আখন্দের গান’ নামে ১৯৮৪ সালে প্রকাশ পায়।
লাকী আখন্দ অসংখ্য গান রচনা ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন যেগুলো গেয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পীরা। তার লেখা ও সুর করা গানের মধ্যে রয়েছে কুমার বিশ্বজিৎয়ের গাওয়া যেখানে সীমান্ত তোমার, সামিনা চৌধুরীর কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, হ্যাপী আখন্দের আবার এলো যে সন্ধ্যা, কি করে বললে তুমি, লিখতে পারি না কোনও গান, ভালোবেসে চলে যেও না ইত্যাদি।
২০১৫ সালে লাকী আকন্দের ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। ২০১৭ সালে টানা আড়াইমাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় পরপারে পাড়ি জমান তিনি।
১৯৫৬ সালের ১৮ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন লাকী আকন্দ। তাঁর বাবা সঙ্গীতপ্রেমী একে আব্দুল হক আখন্দ ও নূরজাহান বেগম আখন্দ। তাঁরা ৪ ভাই সেলি আখন্দ, লাকী আখন্দ, জলি আখন্দ এবং হ্যাপী আখন্দ ও এক মাত্র বোন জেসমিন আখন্দ।
প্রথম স্ত্রী নারগিস আখন্দের সাথে ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁদের এক মাত্র মেয়ে সঙ্গীত শিল্পী মাম্মিন্তি(২২)। লাকি আখন্দের দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম আখন্দ ও তাঁদের একমাত্র পুত্র সন্তান সভ্যতারা আখন্দ।