বিশেষ প্রতিবেদক :
ঢাকাই শোবিজ অঙ্গনের সুহাস্য তারকা অপি করিম। নাচে, গানে, অভিনয়ে ও সুন্দর উপস্থাপনায় যার জুড়ি নেই। মডেলিং কিংবা ম্যাগাজিনের কাভার ফটোতে সুশ্রী বদনে সুহাস্য চিত্তে হৃদয়হরণ করেন তিনি। মঞ্চ নাটক ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী হয়ে তিনি বিরাজ করছেন সবার অন্তরে। আজ এই গুনী তারকার জন্মদিন।
১৯৭৯ সালের ১ মে তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম সৈয়দা তুহিন আরা অপি করিম। জননন্দিনীর জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
অপি করিম বুয়েট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর জার্মানি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ফিরে আসেন দেশে।
মাত্র আড়াই বছর বয়সে জনপ্রিয় টিভি নাটক ‘সকাল-সন্ধ্যা’র পারুলী চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এ সময় তিনি বিটিভির দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘শুকতারা’ ও ‘আপনজন’-এ অভিনয় করেন। সেখানেও জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করেন তিনি।
১৯৯৭ সালে হোয়াইট প্লাসের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৯৯৯ সালে লাক্স ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় ‘মিস ফটোজেনিক’ হিসেবে খেতাব পান। সে বছর ‘তেপান্তরের রূপকথা’ নাটকে অভিনয় করেন। সে সময়ের তুখোড় জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার, বিপাশা হায়াত, আফসানা মিমি, তারিন আহমেদ, শ্রাবন্তী, ঈশিতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের চূড়ায় যেতে থাকেন অপি।
তিনি সে সময় টিভি নাটকের তুখোড় অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ, জাহিদ হাসান, তৌকির আহমেদ, আজিজুল হাকিম, মীর সাব্বির, শিমুলদের বিপরীতে অভিনয় করেন। এছাড়া হালের মোশাররফ করিম, সজল ও অপূর্বের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
অপি করিম অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন। এর সংখ্যা অর্ধশতকের মতো। অভিনয় করেছেন সকাল-সন্ধ্যা, শুকতারা, তিতির সুখ, ছায়াচোখ, জলছাপ, যে জীবন ফড়িংয়ের, উত্তম-সুচিত্রা, মিস শিউলিসহ অসংখ্যা নাটকে। নাটকে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে একাধিকবার পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার।
অপি করিম চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নির্মিত ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রটি অপির ক্যারিয়ারের একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন।
উপস্থাপনা ও নৃত্যে পারদর্শীতায় রয়েছে অপি করিমের অনেক অর্জন।