বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী আজ ৮ মে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের অনন্য প্রতিভাধর এ বিশ্বকবি নিজেকে ও নিজের বাঙালিকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব দরবারে। করোনাকালীন এ ভয়াল সময়ে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন নিয়ে বরাবরের মতো কোন আয়োজন নেই। তবে সীমিতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এবারের রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হচ্ছে।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে সরকারিভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
সকাল ১০টা থেকে বিটিভিতে প্রচারিত হয় গান ও কবিতা। গান ও কবিতাগুলো বাসায় বসে ধারণ করেছেন শিল্পীরা। কয়েকটি রেকর্ডিং বিটিভিতে করা হযেছে।
এছাড়া দেশের সাংস্কৃতিক বিদ্যাপীঠ ছায়ানটেও একটি ধারণকৃত বিশেষ অনুষ্ঠান রয়েছে। যা ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রচারিত হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় একটি ভিডিও অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় ছায়ানট-এর ওয়েবসাইটে। ‘ওই মহামানব আসে’ শিরোনামের আয়োজনটি গ্রন্থনা করেছেন ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন।
শিল্পীরা বাসায় বসে নিজেদের পরিবেশনা রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন। সেগুলো দিয়ে ভিডিও তৈরি করে তা প্রচার করা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে দেশের আর কোনও সংগঠন মঞ্চে কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। তবে অনলাইনে পৃথক পৃথক আয়োজন রয়েছে।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীরা প্রস্তুতি নিয়েছে। শিল্পীরা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ঘরে বসে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করছে বলে জানান তিনি। সেগুলো কয়েকদিন ধরে অনলাইনে প্রচারিত হবে।
রবীন্দ্রজয়ন্তী বাঙালি জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব। এ দিন বিশ্বকবির জন্মদিন। পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলাদেশে ও বাঙালি অধ্যুষিত অঞ্চলে বিপুল উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করা হয় এ দিনটিকে।
এ দিনে পালন করা হয় রবীন্দ্র সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, রবীন্দ্রনাট্যাভিনয়, রবীন্দ্ররচনাপাঠ। কলকাতায় অবস্থিত কবির জন্মস্থান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, রবীন্দ্রসদন ও শান্তিনিকেতনে থাকে নানা আয়োজন। তবে এবার বরাবরের মতো কোন আয়োজন থাকছেনা। করোনাকোলে রবীন্দ্র উৎসব ডিজিটালি পালন হচ্ছে।