গেলো ৩০ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তিনি লড়েছেন করোনার সঙ্গে। ৮ নভেম্বর রবিবার করোনামুক্ত হলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী নাট্যব্যাক্তিত্ব শিমুল ইউসুফ ও মেয়ে এশা ইউসুফ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তবে তাঁরা জানিয়েছেন, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ এখনও পুরোপুরি সেরে উঠেননি। তাঁর শরীর এখনও খুব দুর্বল। আরও দুদিন তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
এদিকে বাবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ উৎকণ্ঠিত ছিলেন, তারা নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়েছে বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মেয়ে এশা ইউসুফ।
এর আগে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ জানিয়েছিলেন, তিনি প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা জমা দিলে রিপোর্ট আসে করোনা পজেটিভ। ৮দিনের মাথায় তিনি নেগেটিভ হলেন।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একাত্তরে রণাঙ্গনে থেকে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি করোনার শুরু থেকেই ব্যক্তি উদ্যোগ ও থিয়েটারের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ দেশব্যাপী অসচ্ছ্বল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে তিনি সাংস্কৃতিক বিপ্লবে অংশ নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন এখনও।
তিনি ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন স্বনামধন্য নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার। তাঁর নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’ দেশে ও ও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ‘একাত্তরের যীশু’ ও ‘আলফা’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।