দীর্ঘ চল্লিশ দিন মৃত্যুদূতের সঙ্গে লড়াই চালিয়েছেন। কখনও আশা জাগিয়েছেন ফিরে আসার, কখনোও ভাবিয়েছেন সবাইকে। অবশেষে পৃথিবীকে চিরবিদায় জানিয়ে চলে গেলেন। কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মহাপ্রয়াণ ঘটেছে। ৮৬ বছরে সমাপ্ত ঘটলো এ জীবনের।
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা ও মহাতারকা সৌমিত্র ছিলেন একাধারে নাট্যকার, বাচিকশিল্পী, কবি ও চিত্রকর। রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টায় মধ্য কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে মারা গেছেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় গত ১৪ আগস্ট সকালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভর্তি হন হাসপাতালে। তিনি পরে করোনা পজেটিভ হয়ে সেরেও ওঠেন।েএর আগে তিনি ক্যান্সারেও আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু প্লাজমা থেরাপি, শ্বাসনালিতে অস্ত্রপচারসহ নিবিড় পর্যবেক্ষণে গত আড়াই মাসের মতো সময় চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন চিকিৎসকরা। উদ্বিগ্ন ছিলেন দুই বাংলার শোবিজের হাজারও মানুষ।
কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতা বেড়ে যায়। হার্ট রেটও বাড়ে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এদিকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকাহত হয়ে পড়ে টালিপাড়া ও একই সঙ্গে ঢালিউড। দুই বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়ে শোক। বেলভিউ হাসপাতালে ছুটে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে সৌমিত্রের মেয়ে পৌলমী জানিয়েছেন, দুপুর ২টায় গল্ফগ্রীনের বাড়িতে তাঁর বাবাকে নিয়ে যাওয়া হবে। তার পর টেকনিশিয়ান স্টুডিয়ো হয়ে রবীন্দ্র সদনে শ্রদ্ধার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে সৌমিত্রকে। সেখান থেকে কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা কিংবদন্তি অভিনেতা ও আবৃত্তিকার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি।