ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ও সোহাগী’র বাংলাদেশ প্রিমিয়ার
প্রকাশের সময় :
কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
নিষেধাজ্ঞার বাধা পেরিয়ে অবশেষে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ও সোহাগী’। শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। যদিও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও পুরুষ চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে দেখানোর অভিযোগে চলচ্চিত্রটি এখনও সেন্সর সার্টিফিকেট পায়নি।
ছবিটি বিদেশের বেশকিছু চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কৃত ও প্রশংসনীয় হয়েছে। এ ব্যপারে সিনেমাটির নির্মাতা জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ও সোহাগী’ সম্প্রতি ইসলামি রিপাবলিক অব ইরানে ‘ইন্টারন্যাশনাল মুভিং ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হলেও, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং পুরুষ চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে দেখানো হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে সব বাধা পেরিয়ে অবশেষে ছবিটির বাংলাদেশ প্রিমিয়ার হচ্ছে।
ছবিটি ইতোমধ্যে ভারতের মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী ফিল্ম হিসেবে পুরস্কার জিতেছে। গুজরাটের নিউ নরমাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০-এ বেস্ট উইমেন সোস্যাল অ্যাওয়ারনেস ফিল্ম পদক অর্জন করে ছবিটি। এছাড়া ইরান, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১১টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কার ও স্বীকৃতি পায় ছবিটি।
ও সোহাগী- সিনেমাটি স্বপ্নবঞ্চিত নারী-শিশুর বৃত্তাকার জীবনের বিয়োগান্ত উপাখ্যান। বিশ্বময় সমাজের সর্বত্র আমাদেরই মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্যময় পুরুষের ঘৃণ্য লালসা ও ভয়াল পাশবিকতার থাবা ভালোবাসার অগণিত শিশু, কিশোরী ও নারীর স্বপ্ন-সম্ভাবনাকে গ্রাস করে অবলীলায়। আবহমানকালের ক্ষয়িষ্ণু বাস্তবতার সেই অন্ত:ক্ষরণ, স্বপ্নভাঙা মানব হৃদয়ের বেদনা ও অপূর্ণ জীবনের অব্যক্ত বিলাপ এ কাহিনীতে রূপক ও বহুস্তর জাদুময় ব্যঞ্জনায় প্রকাশিত।
জাহাঙ্গীর মোহাম্মদের সঙ্গে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন গোলাম মোস্তফা। নাহার কৃপার চিত্রনাট্যে ছবিটির চিত্রগ্রহণ করেছেন রাকিবুল হাসান। দ্বিতীয় ইউনিটের ক্যামেরা ও ড্রোন পরিচালনা করেছেন আহমেদ হিমু। অভিনয় করেছেন সমন্বিত বর্ধণ, মোহাম্মদ রফিক, রওনক রিপন ও ঝুমুর আসমা জুঁই। সম্পাদনায় ছিলেন দেবাশীষ ডুব ও পোস্ট প্রডাকশন সুপারভাইসার হিসেবে ছিলেন চৈতালি সমাদ্দার। শিল্প নির্দেশনায় উত্তম গুহ ও সঙ্গীত পরিচালনায় সায়েম রানা। ছবিটি প্রযোজনার সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন আবু জায়েদ, রহমতউল্লাহ।