কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান স্মরণে রবিবার ৩১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ‘বাংলা খেয়াল উৎসব’। অষ্টমবারের মতো চ্যানেল আইতে এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিকাল ৫টা ২০ মিনিট থেকে উৎসবটি শুরু হয়ে চলবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা পর্যন্ত। প্রয়াত কিংবদন্তি আজাদ রহমানের হাত ধরেই এই খেয়াল উৎসব শুরু করে চ্যানেল আই।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা-প্রধান শাইখ সিরাজ জানিয়েছেন, এবারের আয়োজনটি আজাদ রহমান স্মরণে করা হচ্ছে। এটি যে কোন সময়ের তুলনায় ভিন্ন আমেজে প্রচার হবে। করোনা পরিস্থিতিতে চলে যাওয়া আজাদ রহমানসহ চলে যাওয়া বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের হারানোর এ সময়ে এ আয়োজনে পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বলেন, আজাদ রহমানের হাত ধরে এ আয়োজন শুরু হয়েছিলো। তাই এবারের আয়োজন প্রয়াত হওয়া সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমানকে স্মরণ করে।
২০২০ সালের ১৬ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন আজাদ রহমান। করোনার এ ভয়াল সময়ে তাঁকে হারায় সঙ্গীতাঙ্গন।
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি খেয়ালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কলকাতার জনপ্রিয় বাংলা সিনেমা ‘মিস প্রিয়ংবদা’র সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন। তিনি ‘গোপন কথা’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেছেন। ‘বাংলা খেয়াল’ নামে সঙ্গীতবিষয়ক বই রচনা করেছেন তিনি। বইটি দুই খণ্ডে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
আজাদ রহমান একাধারে একজন সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো, ভালোবাসার মূল্য কত, ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই, ও নয়ন পাখিরে, দু চোখে কাজল আর আঁকব নাসহ অসংখ্য।
আজাদ রহমান আগন্তুক, প্রিয়তমা, বাঁদী থেকে বেগম, মাসুদ রানা, টাকার খেলা, মায়ার বাঁধন, বাসর রাত, মতিমহল, দি ফায়ার, যাদুর বাঁশি, খোকন সোনা, রাজবাড়ি, রাজবন্দি, দেশপ্রেমিক, ডুমুরের ফুল, উত্তর ফাল্গুনী, অনন্ত প্রেমসহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। বাংলা খেয়াল ও ধ্রুপদী সঙ্গীতে তিনি ছিলেন পন্ডিত। তিনি দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।