এবারের ৯৩তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অস্কার সেরা সিনেমা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবিটি। একই সাথে ছবিটির পরিচালক ক্লোয়ি জাও এবং অভিনেত্রী ও প্রযোজক ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড অস্কার সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। ক্লোয়ি জাও প্রথম এশীয় এবং দ্বিতীয় নারী পরিচালক যিনি অস্কারের আসরে ইতিহাস গড়লেন।
পুয়ের্তোরিকান অভিনেত্রী রিটা মোরেনো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিয়ন স্টেশনে আয়োজিত অস্কারের মঞ্চে এ ছবির নাম ঘোষণা করেন।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টায় বিশ্ব চলচ্চিত্রের সেরা এ আসর বসে। ভোর ৬টায় শুরু হয় পুরস্কার বিতরণ। এবিসি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৫টিরও বেশি দেশে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় অনুষ্ঠানটি।
এদিকে বছরজুড়েই ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছবিটি অস্কার মনোনয়নে এগিয়ে ছিলো। এর আগে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণসিংহ ও টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় ছবিটি। এই অ্যাওয়ার্ড দুটি পাওয়ার পর আলোচনায় এগিয়ে থাকে ছবিটি। দর্শক পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করে সিনেমাটি। ছবিটি গোল্ডেন গ্লোবস, বাফটা, ক্রিটিকস চয়েস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডস ও প্রডিউচার্স গিল্ড অব আমেরিকা অ্যাওয়ার্ডস সেরার পুরস্কার অর্জন করেছে।
২০১৭ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক জেসিকা ব্রুডারের ‘নোম্যাডল্যান্ড’ গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটিতে ষাটোর্ধ্ব বিধবা ফার্নের গল্প বলা হয়েছে। আমেরিকান তারকা ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড এই চরিত্রে অভিনয় করে বিপুল প্রশংসিত হয়েছেন। দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে তিনিও অস্কার সেরার পুরস্কার পান।
এ ছবিটিতে উঠে এসেছে ২০০৮ সালের আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা ও অনেক উদ্বা্স্তু হয়ে যাওয়া যাযাবর জীবন কাটানো কিছু মানুষের জীবন। তারা ভ্যানে বসবাস করেন। নিজের ভ্যানকে ভ্রাম্যমাণ বাড়িতে রূপ দিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। তাদের আয় মৌসুমি চাকরি। ছবিটির প্রধান চরিত্র ফার্ন তার মতোই যাযাবরদের সঙ্গে বসাস করেন, আড্ডা দেন। অন্যান্য যাযাবররা সত্যিকারের যাযাবর। তারাই অভিনয় করেছেন এ ছবিটিতে।
অস্কারের ট্রফি হাতে নোম্যাডল্যান্ডের টিম
এবারের সেরা চলচ্চিত্র শাখায় আরও যেসব ছিলো মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলো:
অস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকার হারম্যান জে. ম্যাঙ্কিয়েভিচের সাদাকালো বায়োপিক ‘ম্যাঙ্ক’, ষাটের দশকে কৃষ্ণাঙ্গদের রাজনৈতিক দল ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টির গল্প ‘জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া’, মিটু হ্যাশট্যাগে অনুপ্রাণিত প্রতিশোধের আখ্যান ‘প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান’, ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী একদল মানুষের সত্যি কাহিনিতে সাজানো ‘দ্য ট্রায়াল অব দ্য শিকাগো সেভেন’, বধির রক ড্রামারকে ঘিরে ‘সাউন্ড অব মেটাল’, কোরিয়ান অভিবাসী পরিবারের গল্প ‘মিনারি’ ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া এক বৃদ্ধকে ঘিরে নির্মিত ‘দ্য ফাদার’।