করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৭দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন চিত্রনায়ক আলমগীর। বুধবার (৫ মে) তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে এসেছেন। হাসপাতালে ডা. রাশেদুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিলো তাঁর। ঘরোয়া পরিবেশে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডাক্তাররা তাঁর পুরো তত্ত্বাবধান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আলমগীর।
আলমগীর জানান, ডাক্তাররা বলেছেন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। এখন তিনি বাসায় যেতে পারবেন। বাসায় ফিরে প্রথম কয়েক দিন তাঁকে কিছুদিন সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। এর আগে ১৮ এপ্রিল আলমগীর করোনা পজেটিভ হন। ওই দিন বিকেলেই তাঁকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আলমগীর কুমকুমের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আমার জন্মভূমি-তে অভিনয়ের মাধ্যমে আলমগীরের অভিষেক। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপর তিনি অভিনয় করেন দস্যুরাণী, লাভ ইন শিমলা, জিঞ্জীর, গুন্ডা, রজনীগন্ধা, ভাত দে চলচ্চিত্রসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। আলমগীর অভিনীত ও পরিচালিত সর্বশেষ ছবি ‘একটি সিনেমার গল্প’। প্রায় চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি বেশকিছু সিনেমা প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।
চিত্রনায়ক আলমগীর নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে, ১৯৮৭ সালে অপেক্ষা, ১৯৮৯ সালে ক্ষতিপূরণ, ১৯৯০ সালে মরণের পরে, ১৯৯১ সালে পিতা মাতা সন্তান, ১৯৯২ সালে অন্ধ বিশ্বাস ও ১৯৯৪ সালে দেশপ্রেমিক সিনেমায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র অভিনেতা হিসেবে ২০১০ সালে জীবন মরণের সাথী ও ২০১১ সালে কে আপন কে পর ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।