টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুক্ত হলেন। প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ডাকা হতে পারে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটকের একদিন পর তাঁর ‘মম’ চয়নিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যায়। নানা ইস্যুতে সেখানে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। পরীমনির সঙ্গে সখ্যতা ও পরীকে জিজ্ঞাসার ভিত্তিতে চয়নিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এমনটাই জানা যায় বিভিন্ন সূত্র থেকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, চয়নিকা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। সবাই প্রশ্ন করছিল, পরীমনির কথিত মা চয়নিকা চৌধুরীকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। এ ছাড়া রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকেও কথিত এই মা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এখন তাঁকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে যখন ডাকা হবে, তিনি আসবেন। এই শর্তে তাঁকে ছাড়া হচ্ছে।
এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে চয়নিকা চৌধুরীর গাড়ি ঘিরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিযে যাওয়া হয়। জানা যায়, এ ডিবি পুলিশের সাথে তার কিছুটা বাক-বিতণ্ডা হয়। একসময় নিজের গাড়িতে করেই তাঁকে আটক করে মিন্টু রোডে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় তিনঘন্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ।
চয়নিকা চৌধুরী পরীমনিকে নিয়ে নির্মাণ করেন চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। চয়নিকাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন পরী। বোটক্লাব কাণ্ডে পরীমনির পাশেই ছিলেন চয়নিকা চৌধুরী। বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটকের পর কিছুটা আড়ালেই ছিলেন চয়নিকা। দুদিন তার তেমন কোন প্রতিক্রিয়া বা পরীর পাশে গিয়ে সঙ্গ দেওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। এ নীরবতা আলোচনার জন্ম দেয় গণমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমে। মাদক মামলায় আটক পরীমনিসহ চারজনের বিরুদ্ধে চারদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন জনপ্রিয় ও বর্ষিয়াণ এই নাট্যনির্মাতা।