কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপার জন্মদিন আজ। ১৯৬৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পী। কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
কনকচাঁপার পুরো নাম রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা। ১৯৭৮ সালে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন কুঁড়ি’র চ্যাম্পিয়ন হন। একই বছর প্রথম তিনি টিভিতে পারফর্ম করেন। ‘জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতা’র টানা ৩ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন নিয়েছেন গানের তালিম।
১৯৮৪ সালে ‘বিধাতা’ সিনেমার গানে কণ্ঠ দেয়ার মাধ্যমে প্লেব্যাকে তার অভিষেক হয়। এরপর থেকে নিয়মিত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন তিনি। এছাড়াও আধুনিক গান, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সব ধরনের গানে তিনি সমান পারদর্শী।
প্রায় চার দশকের ক্যারিয়ারে তিন হাজারের বেশি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তার প্রায় ৪০টি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।
‘তোমাকে চাই শুধু তোমাকে চাই’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘থাকত যদি প্রেমের আদালত’, ‘ছোট্ট একটা জীবন নিয়ে’, ‘ভাল আছি ভাল থেকো’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’, ‘অনেক সাধনার পরে আমি’, ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’, ‘আমার নাকেরই ফুল বলে রে’, ‘এক বিন্দু ভালোবাসা দাও’, ‘একদিন তোমাকে না দেখলে’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটিকে’, ‘বিরহে পোড়াইলা তুমি আমার এ অন্তর’, ‘আমার প্রেমের তাজমহল’, ‘আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলা’, ‘তোমায় দেখলে মনে হয়’, ‘অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে’, ‘এমন একটা দিন নাই’, ‘আমার হৃদয় একটা আয়না’, ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’, ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনিতো দাম’, ‘আমি মেলা থেকে তাল পাতার এক’সহ অংসখ্য কালজয়ী গান তিনি উপহার দিয়েছেন।
প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের স্বরণে কনকচাঁপার স্মৃতিচারণ : বড় শুন্য শুন্য লাগে আজ
গানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারবার বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য সম্মান ও পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
গানের পাশাপাশি লেখক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে কনকচাঁপার অবদান রয়েছে। ২০১০ সালে তাঁর প্রথম বই ‘স্থবির যাযাবর’ প্রকাশ হয়। এরপর ‘মুখোমুখি যোদ্ধা’, ‘মেঘের ডানায় চড়ে’, ‘কাঁটা ঘুড়ি’, ‘সেই পথে যাও’, ‘কাঁটা ঘুড়ি-২’ প্রকাশিত হয়।
কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপার আরও খবর
⇒ একুশে বইমেলায় কনকচাঁপার ‘কাটাঘুড়ি’
শুধু গান আর সাহিত্য নয়, চিত্রশিল্পী হিসেবেও কনকচাঁপার বেশ সুনাম রয়েছে। ২০১৬ সালে তার আঁকা ছবিগুলো নিয়ে ‘দ্বিধার দোলাচল’ নামে একটি একক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন তিনি।
বৈবাহিক জীবনে ১৯৮৪ সালে তিনি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।