কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা বলেছেন, ‘আমরা গর্বিত আমাদের একজন শাবনূর আছেন।’ বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেইসবুকে ছেলে ফয়জুল ইসলাম খান আর মারিনা আমীরের বিয়ের দিনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি একথা লিখেন।
‘শাবনূর আর আমি’ শিরোনামের ওই পোস্টটি কালচারাল ইয়ার্ডের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধারলাম।
কনকচাঁপা লিখেছেন, দু’জনকে বলা যায়, দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাক এর পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি।
আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনিই গাইছেন। তাই তার ছবির গানে কনকচাঁপার কণ্ঠ আবশ্যম্ভাবী। অনেকেই এই ঠোঁট মিলে যাওয়া বা আবেগ মিলে যাওয়া অথবা বলা যায় একাত্ম হয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আমাকে দিতে চান।আমি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করি কারণ আরও নায়িকার লিপে আমি গেয়েছি কিন্তু এমন একাত্ম হওয়া যায়নি হয়তো, সেক্ষেত্রে আমি শাবনূরের অত্যাশ্চর্য অভিনয়কেই বেশি মূল্যায়ন করি। তিনি অনেক উঁচুদরের অভিনয় শিল্পী। এসব কথা বা ব্যখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা ছবি দেখতেন, বা ছবির ভক্ত ছিলেন তারা সবাই হয়তো জানেন।
কিন্তু একটি কথা সবার একদম অজানা যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে! প্লেব্যাক এর প্রথম দিকে দুজন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠানে মিতবাক শাবনূরের সাথে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দুয়েকটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।
তো মাশুকের বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে গেলাম তার বাসায়। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে, উচ্ছাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেলেন। আমার বাসা ওনার বাসার কাছাকাছি শুনে বললেন ‘ও আল্লাহ! তাইলে তো আপনার নিঃশ্বাস ও আমি পাই,অথচ মনে মনে আমি আপনাকে কতো খুঁজি!’
বিয়ের কার্ড বিলি করতে বাসা থেকে খেয়েদেয়েই বের হয়েছিলাম।শাবনূরের বাসায় যেতে দুপুর বেলা গড়িয়ে গেলেও তিনি কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলেন না,সেই দুপুরে আমার দুবার খেতে হলো!
শাবনূর সম্পর্কিত আরও খবর
⇒ সাবধান করেছেন শাবনূর, না শোধরালে আইনি ব্যবস্থা
⇒ প্রস্তুতি নিয়েই জাজের ‘কাঁটাতারের বেড়া’ ছবিতে ফিরছেন শাবনূর
জোর করে নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের করা রান্না খাবার আমাদের খাওয়ালেন।আমার ড্রাইভার রনিকেও বেড়ে খাওয়ালেন।রনিকে খাওয়া শেষে শাবনূর যখন শুধালেন ‘টক দই না মিষ্টি দই দেবো?’ রনি পরিষ্কার একটা বেষম খেয়ে খেই হারিয়ে বললো ‘টকই দেন’।
আমি বারবার নিরাভরণ মেকআপহীন শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং ভিষণ চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এতো সুন্দর, এতো গভীর, এতো চঞ্চল, এবং এতো কান্না সে চোখে যে বেশীক্ষণ সে নয়ন পানে তাকানো যায় না!
কিন্তু সে চলাবলায় এতো ভোলাভালা যে আমি বারবার আনমনা হয়ে ভাবছিলাম এই মানুষ এতো নিখুঁত অভিনয় কিভাবে করেন! কিভাবে পারেন! আমাকে জোর করে সারাবাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখালেন।
প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের স্বরণে কনকচাঁপার স্মৃতিচারণ : বড় শুন্য শুন্য লাগে আজ
যাই হোক, যথারীতি তিনি আমার ছেলের বিয়েতে এলেন, মজা করে খাবার খেলেন,ভক্তদের সবার সাথে দীর্ঘ সময় ধরে হেসে হেসে, ধৈর্য ধরে এতো ছবি তুললেন যে আমরা সবাই বিস্মিত হয়ে গেলাম।
সবশেষে জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী লিখেছেন, সত্যিই আমরা গর্বিত হতে পারি যে, আমাদের একজন শাবনূর আছেন; যার নামের আগে পিছে কোন বিশেষণ লাগে না।
আরও পড়ুন : সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় শাবনূর