কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
নানা সংকটের মধ্যেও ২০২৪ বেশ ভালোভাবেই পার করলো ঢাকাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। আমদানি ছবি বাদ দিয়েও এ বছর জুড়ে ৫৩টির মতো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ব্যর্থতার পাল্লা ভারি থাকলেও বছর জুড়ে আলোচিত ছিল বেশ কিছু সিনেমা। যেগুলো দিয়ে সন্তুষ্ট ছিল বাংলা সিনেমার দর্শক থেকে সিনেমা ব্যবসায়ীরা। যার মধ্যে অন্যতম হলো তুফান, রাজকুমার, দেয়ালের দেশ, মোনা:জ্বিন-২ ও ওমর।
তুফান
১৭ জুন ঈদুল আযাহা উপলক্ষে মুক্তি পায় এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় হিট সিনেমা ‘তুফান’। অ্যাকশন ধাঁচের এ সিনেমাটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত পরিচালক রায়হান রাফী। সিনেমার নাম ভূমিকায় ছিলেন মেগাস্টার শাকিব খান। এই সিনেমার মাধ্যমেই শাকিব খান পৌঁছে যান অনন্য উচ্চতায়। সিনেমাটিকে বাংলাদেশের আধুনিক সিনেমার স্যাম্পল মনে করেন দর্শকরা। সিঙ্গেল স্ক্রিনে টানা দুমাস হাউজফুল দেখা যায় সিনেমাটি। সিনেপ্লেক্সে শো-এর বিচারে হলিউডের সিনেমার রেকর্ড ব্রেক করে ‘নাম্বার ওয়ান’ পজিশনে পৌঁছায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, ‘তুফান’ বিশ্বব্যাপী ব্লকবাস্টার হওয়ারও গৌরব অর্জন করে।
প্রিয়তমা
‘প্রিয়তমা’-খ্যাত নির্মাতা হিমেল আশরাফের সিনেমা ‘রাজকুমার’। ভার্সেটাইল মিডিয়ার প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল ১১ জুলাই ঈদুল ফিতরে। শৈশবে হারানো মাকে খুঁজতে পাবনার এক যুবকের আমেরিকা যাত্রা ও করুণ পরিণতির গল্পে নির্মিত হয় ‘রাজকুমার’। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মেগাস্টার শাকিব খান। আরও ছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি, মাহিয়া মাহি, আরশ খান, তারিক আনাম খান প্রমুখ। মুক্তির পর ‘রাজকুমার’ দেশ-বিদেশে সর্বমহলের দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে; সেই সঙ্গে শাকিবের অনবদ্য অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শকরা। সিনেমা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ‘রাজকুমার’-এ অভিনয়ের কারণে শাকিব ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন।
দেয়ালের দেশ
ঈদুল ফিতরের আরেক সিনেমা ‘দেয়ালের দেশ’। নবীন নির্মাতা মিশুক মনির পরিচালিত সরকারি অনুদানে নির্মিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও বুবলী। মুক্তির আগে সিনেমাটির টিজার প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনা তৈরি করে। মর্গের ডোম ও প্রেমিকার লাসের অন্যরকম প্রেম কাহিনী দর্শকদের অন্যরকম ভালো লাগা উপহার দেয়। এ কারণে সার্বিক হিসেবে দেয়ালের দেশ মুক্তির পর আলোচনা তৈরি করে।
মোনা: জ্বিন-২
জাজ মাল্টিমিয়ার প্রযোজনায় কামরুজ্জামান রুমানের পরিচালনায় ‘মোনা: জ্বিন-২’ মুক্তি পেয়েছিল ঈদুল ফিতরে। হরর সিনেমা হিসেবে প্রচার করা হলেও দর্শক ভয় না পেয়ে হাসতে হাসতে বের হয় সিনেমাটি দেখে। ভয় পেলে লাখ টাকা পুরস্কার এবং হলের সামনে অ্যাম্বুলেন্স রাখার ঘোষণার মতো মার্কেটিং পলিসির কারণে সিনেমাটি দর্শকদের নজরে আসে। এতে অভিনয় করেন সুপ্রভাত, তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেলসহ অনেকে।
ওমর
১১ এপ্রিল ঈতুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল মুহাম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’। মাস্টার কমিউনিকেশনের ব্যানারে নির্মিত টানটান থ্রিলার ও সাসপেন্সে ভরা এ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন শরিফুল রাজ, নাসির উদ্দিন খান, শহিদুজ্জামান সেলিন, আবু হুরায়রা তানভীর। একটি খুন ও প্রতিশোধের গল্পে বাংলাদেশেও যে টান টান উত্তেজনার গল্প নির্ভর থ্রিলার সিনেমা বানানো যায়, সেই প্রমাণ দেয় ‘ওমর’। সিনেমাটি যারা দেখেছেন, এক বাক্যে বলেছেন বাংলাদেশের গল্পে নতুন স্বাদের থ্রিলার গল্প উপভোগ করেছেন। এ কারণে এগিয়ে থাকবে ওমর।
দোজার গবেষণাকর্ম ‘চলচ্চিত্রের সৈয়দ শামসুল হক’ উপস্থাপন
আব্রাহাম তামিম: কবিতায় যিনি দম নেন, সিনেমায় যিনি যাপন করেন