হারিয়ে ফেলা আমাকে নতুন করে খুঁজে পেলাম : মৌসুমী মৌ
প্রকাশের সময় :
অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী মৌ। গান শিখছেন ছোট বেলা থেকেই। অভিনয়ের ক্যারিয়ারের শুরুটা মঞ্চ নাটক থেকে। অভিনয় করেছেন নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোর’র ‘কনডেমড সেল’, ‘বিবাদী সারগাম’, ‘হাছনজানের রাজা’ নাটকে। ‘সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’, ‘হাসতে মানা’, ‘লিয়াকতের লটারি’, ‘তুমি আছো আমি আছি’সহ বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘চৌধুরী & সন্স’, ‘সাত ভাই চম্পা’, ‘বিউটি বোট’ ও ‘বৃষ্টিদের বাড়ি’। করোনাকালীন এই গৃহবন্দী সময়ে ব্যাক্তিজীবন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নানা বিষয় নিয়ে কালচারাল ইয়ার্ডের সাথে কথা বলে এই অভিনেত্রী।
কালচারাল ইয়ার্ড : এই গৃহবন্দী সময়ে আপনার পরিবর্তীত জীবনাচরণ ও জীবনবোধ সম্পর্কে জানতে চাই। মৌসুমী মৌ : পরিবর্তীত জীবনাচরণ বলতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও ঘরমুখী জীবনে আত্মনির্ভরশীল হওয়া। আর জীবনবোধের কথা বলতে গেলে সহজ কথায়, ব্যাস্ত নাগরিক জীবনের অন্তরালে হারিয়ে ফেলা আমাকে নতুন করে খুঁজে পেলাম।
কালচারাল ইয়ার্ড : করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। এই সময়ে চলচ্চিত্র বা নাটক কি ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন। মৌসুমী মৌ : মহামারী করোনা চলাকালীন সময়ে নাটক বা চলচিত্র হয়ে উঠতে পারে অনেকের মানসিক স্বাস্থ্য অক্ষুন্ন রাখার পাথেয়, একাকী সময়ের সঙ্গী।
কালচারাল ইয়ার্ড : এ সময় কি মানুষের মানবিকতা আর সাংস্কৃতিকবোধের বিকাশ ঘটবে বলে মনে করেন কিনা। মৌসুমী মৌ : অবশ্যই মানবিকতার বিকাশ ঘটবে ও ঘটছে। আর সাংস্কৃতিক চর্চার ও বোধ জাগ্রত হওয়ার পর্যাপ্ত সময় তৈরি হয়েছে।
কালচারাল ইয়ার্ড : অবসর সময় আপনার অতীত স্মৃতিতে কি কি ভেসে আসে। কোন সময়টা ধরা দেয় স্মৃতিতে? মৌসুমী মৌ : অবসর সময় আমার ছোট বেলা গ্রামে বেড়ে ওঠার কথাগুলো ভীষণ মনে পড়ে। খুব আনন্দে কেটেছে ছোটবেলাটা।
কালচারাল ইয়ার্ড : করোনা পরবর্তী পৃথিবী সাংস্কৃতিক মানুষের জন্য কেমন হবে বলে মনে করেন। মৌসুমী মৌ : খুব কষ্টে যাচ্ছে এবং যাবে। আর এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি আমরা যার যার কর্মে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে ফিরবো।