নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমানের জন্মদিন আজ। জন্মদিনে ভক্ত অনুরাগী ও সতীর্থদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পী। তিনি গত অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে দেশীয় সঙ্গীতাঙ্গনে অবদান রেখে চলেছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন গানের পাখি। পল্লীগীতি ও নজরুলগীতিতে তিনি অগ্রপথিক। এছাড়া তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে ইসলামি গান ও গজল এমনকি আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গান করে মানুষের হৃদয়ে আসন গেড়ে আছেন।
প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কিংবদন্তি ফেরদৌসী রহমানের জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা। বহুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি গানের জগত থেকে দূরে আছেন। কিন্তু এখনও তাঁর জন্মদিনে ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করেন। সতীর্থরা তাঁর খোঁজ খবর নেন।
করোনাকালে রোববার তাঁর জন্মদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ফেরদৌসী রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভক্তরা। তাঁর দীর্ঘায়ূ কামনা করেছেন তারা। তিনি সুস্থ হয়ে গানের পাখি হয়ে আরও দীর্ঘদিন গান শুনিয়ে যান ভক্তদের এটাই সবার চাওয়া।
ফেরদৌসী রহমানের অসংখ্য গানের মধ্যে রয়েছে যার ছায়া পড়েছে মনের আয়নাতে, প্রাণ সখিরে, যে জন প্রেমের ভাব জানে না, ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে, পদ্মার ঢেউরে, ও কি গাড়িয়াল ভাই।
ফেরদৌসী রহমান ১৯৪১ সালে ২৮ জুন কুচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন। পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিনের মেয়ে তিনি। বাবার কাছ থেকেই সঙ্গীতের হাতেখড়ি। এরপর তিনি গান শেখেন ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান, নাজাকাত আলী খান ও সলামাত আলী খানের কাছে। তাঁর ভাই প্রখ্যাত পল্লী গানের সঙ্গীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও বিচারপতি মোস্তফা কামাল।
পঞ্চাশের দশক থেকে তিনি সিনেমার গানেও কণ্ঠ দেন। তিনি প্রায় আড়াইশর মতো সিনেমার গানে কন্ঠ দিয়েছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও গেয়েছেন উর্দু, ফারসি, আরবি, চীনা, রুশ, জার্মান ভাষায়ও গান গেয়েছেন।
তিনি নজরুল ইন্সটিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন একুশে পদক। এছাড়া তিনি লাহোর চলচ্চিত্র সাংবাদিক পুরস্কার, প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার, নাসিরউদ্দিন গোল্ড মেডেল পুরস্কার অর্জন করেছেন।
এছাড়া তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।