করোনাকালীন ছয় মাসের বেশি সময় বন্ধ ছিলো শিল্পকলা একাডেমিসহ নাট্যঙ্গন। করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে সবকিছু আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এ অবস্থায় নাট্যশিল্পীদের দাবির মুখে সরব হতে শুরু করেছে নাটকপাড়া। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা আগামী ২৩ অক্টোবর খুলে দেওয়া হবে। তবে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন নাট্যশালার মিলনায়তনগুলো বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
সরকারের স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সমন্বয় করে মিলনায়তনগুলো ব্যবহার এবং নাটক মঞ্চায়নের জন্য নীতিমালা তৈরি করেছে। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে মিলনায়তনের বরাদ্দ দেওয়া হবে। দর্শকের বসার জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন ব্যবহার করা যাবে। কোন কোন আসন ব্যবহার করা যাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে সপ্তাহের সব কটি দিনেই মিলনায়তন বরাদ্দ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে জানা গেছে, একাডেমির মিলনায়তন পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি আগত দর্শকের শরীরের তাপমাত্রা মেপে হলে প্রবেশ করানো হবে। এ ছাড়া দর্শকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন সারা দেশে নাট্য প্রদর্শনী বন্ধ ঘোষণা করে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটও সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট বেইলী রোডের থিয়েটার হল মহিলা সমিতির ইব্রাহীম মিলনায়তনে একক নাটক ‘লালজমিন’র মাধ্যমে থিয়েটারে আবারও আলো জ্বলে। সেদিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নীলিমা শূন্যন রেপার্টরি প্রযোজিত মান্নান হীরার লেখা ও সুদীপ চক্রবর্তীর নির্দশনায় ‘লালজমিন’ নাটকটি প্রদর্শিত হয়। নাটকটিতে একক অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী। এদিকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে প্রাঙ্গণেমোরের নাটক ‘আওরঙ্গজেব’প্রদর্শিত হয়। মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা।