চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা, আড্ডা আর পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে ৯ দিনের উৎসব করলো ঢাকা। ২০ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ১৬ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। কিন্তু এর রেশ রয়ে গেছে এখনও। এবার উৎসবের সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে দারসিম গণহত্যা নিয়ে নির্মিত তুরস্কের চলচ্চিত্র ‘জার’। সেরা নির্মাতাও তুরস্কের। ডাহা (মোর) চলচ্চিত্রের জন্য অনুর সায়ালক। এদিকে বাংলাদেশ প্যানারোমায় সেরা বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘সোহাগীর গয়না’ এবং ‘হালদা’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন তৌকীর আহমেদ।
ছোট এবং মুক্ত চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে স্পেশাল মেনশন শর্ট ফিকশন এ সেরা নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশের খন্দকার সুমনের ‘পৌণঃপুণিক’, সেরা ছোট ফিকশন নির্বাচিত হয়েছে ইরাকের নির্মাতা বাকার আল রবাইয়ের চলচ্চিত্র ‘ভায়োলেট’, স্পেশাল মেনশন শর্ট ডকুমেন্টারি নির্বাচিত হয়েছে নেপালের নির্মাতা প্রদীপ পোখরেল এর চলচ্চিত্র ‘আ সং ফর বারপাক’। সেরা ছোট প্রামাণ্যচলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাজ্যের নির্মাত পিয়েত্রো নভেলোর ‘কন্টিনেন্টাল ড্রিফট’।
ফিপ্রেসি বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে লতা আহমেদ এর পরিচালনায় ৯২ মিনিটের ‘সোহাগীর গয়না’। এটি তার প্রথম নির্মাণ।
নয়দিনব্যাপী উতসবে জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরী, আলিয়সঁ ফ্রঁসেস ডি ঢাকা, রাশিয়ান কালচারাল এন্ড সায়েন্স সেন্টারসহ সকল ভেন্যুতে ৬৪ দেশের ২১৪ টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট প্রায় শতাধিক বিদেশী অতিথি উৎসবে অংশ গ্রহণ করেন। ষষ্ঠদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিল্ড্রেন্স ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়। উৎসবে বাংলাদেশের দশটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ২০টির বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে প্রতিদিন সকাল ১০টা, দুপুর ১টা ও বিকাল ৩টার প্রদর্শনীতে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে চলচ্চিত্রগুলো দেখতে পায়।
চলচ্চিত্রের যাবতীয় তথ্য সমৃদ্ধ স্মরণিকা প্রকাশের পাশাপাশি উৎসব চলাকালীন প্রতিদিনকার সংবাদসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করা হয়। একটি আকর্ষণীয় পোস্টার ও স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও, মিট দ্য প্রেস-এ চলচ্চিত্রকার, প্রযোজক, অভিনয় শিল্পীসহ দেশি-বিদেশি ডেলিগেট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের সঙ্গে আলোচনা ও আড্ডা ছিল সবার আগ্রহের মিলনমেলা।