ঢাকায় চলছে ৭ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামীর স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে শনিবার বিকালে পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শুরু হয় উৎসবটি। উৎসবকে ঘিরে শিশুদের সঙ্গে নানা বয়সী মানুষের সমাগম ঘটে। শনিবার বিকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ‘১১তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব’ উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম দিন দেখানো হয় মারিয়া নভারো পরিচালিত মেক্সিকান চলচ্চিত্র ‘টেসোরস’।
দ্বিতীয় দিনও উৎসবে ভিড় করেছেন নানা বয়সী মানুষ। শওকত ওসমান মিলনায়তনে সকাল ১১টায় দেখানো হয় জার্মানির চলচ্চিত্র ‘বাকা’, ইরাকের ‘ক্যাপ্টেন এডেল’, নেদারল্যান্ডসের ‘সাবাকু’, দুপুর ২টায় ইজিপ্টের ‘রেড ভেলভেট’, ভারতের ‘অ্যান ইনভাইটেশন ফর ওয়্যান’, বিকাল ৪টায় রাশিয়ার ‘দ্য শার্পনেল’, সন্ধ্যা ৬টায় জার্মানির ‘বিং সিস্টারস’। এছাড়া আরও বেশকিছু চলচ্চিত্র দেখানো হয়। শিল্প-সংষ্কৃতি ও সুস্থ বিনোদনের প্রতি শিশুদের আগ্রহ জন্মাতে এ চলচ্চিত্র উৎসব ভূমিকা পালন করবে এমনটা মনে করেন আয়োজকরা। অভিভাকরাও নিজেদের শিশুদের সুস্থ বিনোদনের ধারায় গড়ে তুলতে এ উৎসবকে মোক্ষম বলে মনে করছেন।
উৎসবে ৫৮টি দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিশুদের জমা পড়া মোট ১০০০টি চলচ্চিত্র থেকে উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে প্রায় ২২০টি চলচ্চিত্র। উৎসব চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুর হক ইনু, চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি, উৎসব উপদেষ্টা মোরশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তারা এই উৎসবকে আরও বেগমবান করার উপর জোর দেন। উৎসব পরিচালক হিসেবে আছেন মোহাম্মদ আবীর ফেরদৌস।
সোশ্যাল ক্যাটাগরিতে এবার চলচ্চিত্রের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’। এবার উৎসবে অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এ বিভাগে নির্বাচিত ২১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্য ৫টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা।
এ বছরও ‘ইয়ং বাংলাদেশি ফিল্ম মেকার সেকশন’ শীর্ষক বিভাগটি রয়েছে, যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। উৎসবের মূল ভেন্যু হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তন। এছাড়াও বৃটিশ কাউন্সিল, গ্যাটে ইনস্টিটিউট, অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ড্যাফোডিল স্কুলে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রগুলো।