গ্রাম বাংলার আবহমান কালের একটি পিঠা উৎসব। নবান্ন উৎসব থেকে পূজা-পার্বণ কিংবা গ্রাম বাংলার বিভিন্ন উৎসবে পিঠাই ছিল একমাত্র অনুসঙ্গ। শুধু খাবার হিসেবেই নয় লোকজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে পিঠা। এখন সেভাবে গ্রাম বাংলায় আয়োজন করে পিঠা উৎসব না হলেও নানা আয়োজনে পিঠা থাকবেই। আর লোকজ এতিহ্যকে ধারণ করতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পকলা একাডেমি প্রতি বছর আয়োজন করে জাতীয় পিঠা উৎসব। বরাবরের মতো এবারও করা হয়েছে এ আয়োজন।
গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবের শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে এ পিঠা উৎসব। এ ছাড়াও পিঠাপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে উৎসব মঞ্চে আয়োজন রয়েছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার। পিঠাপ্রেমী নগরবাসী তাই ভিড় করছেন প্রতিদিন। প্রিয়জন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে এসে স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে পিঠা খাচ্ছেন। আর উপভোগ করছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে উদ্বোধনী সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় চোখধাঁধানো আতশবাজির। পিঠাপ্রেমীদের জন্য উৎসব মঞ্চে ছিল বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উদ্বোধনি দিনে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সোমা গিরির পরিচালনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নৃত্যদল, সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনায় ভাবনা, অনিক বোসের পরিচালনায় স্পন্দন, নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ির পরিচালনায় নান্দনিক নৃত্য সংগঠন।
একক সংগীত পরিবেশন করেন সফিউল আলম রাজা, নাবিয়া মিতুল, সনৎ কুমার বিশ্বাস লাভলী শেখ, সরদার হীরক রাজা, রেহানা আক্তার জ্যোতি, শাহনাজ বাবু, জানে আলম; সমবেত সংগীত পরিবেশন করে গানের দল ভাওয়াইয়া এবং একক আবৃত্তি করেন মো. আহ্কামউল্লাহ ও নায়লা তারান্নুম কাকলী। চোখ ধাঁধানো সঙ্গীতের মুর্ছনার সঙ্গে পিঠা খাওয়া উৎসব এক নবপ্রাণের সৃষ্টি করেছে পিঠাপ্রেমী নগরবাসীর মনে।