নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন হিরো বলা হয় তাঁকে। একজন সফল অভিনেতা, সফল চিত্রনায়ক। পুরো নাম এস এম আসলাম তালুকদার। তবে চিত্রজগতে তিনি পরিচিত সবার প্রিয় নায়ক মান্না নামে। আজ শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর দশম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। এ দিনে তাঁকে স্মরণ করছে তাঁর স্বজন, সহকর্মী, প্রিয়জন, সুহৃদ ও তাঁর ভক্তরা। এফডিসি ও তাঁর উত্তরা বাসভবনে দিনব্যাপী আয়োজন করেছে স্মরণ অনুষ্ঠান, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের। তাঁর কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করছে তাঁর সহযোদ্ধারা।
১৯৮৭ সালে ‘নতুন মুখ’ বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন মান্না। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি তওবা। তবে প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পাগলি’। প্রথমে তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে ২য় নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন। ১৯৯১ সালে কাসেম মালার প্রেম ছবিতে একক নায়ক হিসেবে অভিষেক হয় তাঁর। তিনি দাঙ্গা, সিপাহী, লুটতরাজ, আম্মাজান, যন্ত্রণা, দেশ দরদী, অন্ধ আইন, স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ, অবুঝ শিশু, মায়ের মর্যাদাসহ অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের নায়ক। তিনি একজন সফল প্রযোজকও।
উত্তরায় মান্নার বাসভবন ‘কৃতাঞ্জলী’ এবং এফডিসিতে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন স্মরণ অনুষ্ঠানের। বাদ মাগরিব উত্তরায় মান্নার বাসভবন কৃতাঞ্জলীতে আয়োজন করা হয় স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের। মরহুম মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না জানান, বাদ মাগরিব মিলাদ ও দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে বাদ আসর এফডিসিতে স্মরণসভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে তিনি মোট ২৪৫ টি ছবিতে কাজ করেছেন। এর মাঝে নাম মাত্র অভিনেতা হিসাবে ১০০ ছবিতে কাজ করেছেন।
নব্বই দশকে অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণের ধারা শুরু হলে যে কজন প্রথমেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন, তাদের মধ্যে নায়ক মান্না ছিলেন অন্যতম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।