নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়’ প্রতিপাদ্যে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দুইদিনব্যাপী ‘ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০১৮’। কণ্ঠশীলন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ প্রয়াত ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন উপলক্ষে এ আয়োজন। তাঁরই হাতে গড়া সংগঠন বাচিক চর্চা ও আবৃত্তি প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন এ উৎসবের আয়োজন করেছে। কেন্দ্রীয় জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ১০টায় দুইদিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন সাংস্কৃতিক যোদ্ধা কামাল লোহানী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যকার, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম ও কবি তারিক সুজাত। এছাড়াও দু’দিনের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন- গোলাম কুদ্দুছ, সভাপতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আহকাম উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, অভিনেতা, পরিচালক গাজী রাকায়েত, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও এভারেস্ট বিজয়ী এম.এ. মুহিত।
এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উৎসবের আহ্বায়ক ও কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ার, কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত, সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম, সহ-সভাপতি আহমাদুল হাসান হাসনু ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য শিরিন ইসলাম।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠে গোলাম সারোয়ার জানান, আগামী ১৬ ও ১৭ মার্চ শুক্রবার ও শনিবার দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। দুই দিনের এ আয়োজনে দেশের বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা আলোচনা করবেন। সাংস্কৃতিক পর্বে দেশের অগ্রজ ও অনুজরা অংশ নেবেন।
ওয়াহিদুল হক আজীবন কণ্ঠশীলন ভাবনাকে ধারণ করেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন- কণ্ঠশীলনের সকল শিক্ষার্থীকে সাথে নিয়ে সারা দেশে কণ্ঠশীলন কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দেয়ার। আমরা তাঁর সেই স্বপ্ন এবং কণ্ঠশীলন কর্মকান্ড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কণ্ঠশীলন দীক্ষিত সকল সদস্যের মাঝে এই পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেয়ার ব্রত নিয়ে দুই দিনের অনুষ্ঠানমালা হাতে নেয়া হয়েছে। কণ্ঠশীলনের প্রথম থেকে নবতিতম আবর্তন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও তাদের ভাবনাসমূহ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কণ্ঠশীলন ওয়াহিদুল হকের কর্মকান্ডের বাস্তবায়ন রূপরেখা পাওয়া যাবে, আমরা তাই আশা করি। এই আয়োজন কেবল অনুষ্ঠান নয়, কেবল পুনর্মিলন নয়, এই আয়োজন দেশের সকল সাংস্কৃতিক কর্মীর এক বৃহৎ উৎসবে পরিণত হবে। অনুষ্ঠানে সহযোগী হিসেবে আছে ম্যাক্স গ্রুপ এবং মিডিয়া পার্টনার আরটিভি, ডেইলি স্টার ও দৈনিক সমকাল।