নিজস্ব প্রতিবেদক :
কণ্ঠশীলনের আয়োজনে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারে শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে দুইদিন ব্যাপী ওয়াহিদুল হক স্মারণিক মিলনোৎসব ২০১৮ শেষ হলো।
সকালে কণ্ঠশীলন সদস্যরা গানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের আরম্ভ করেন। সাধারণ সম্পাদক রইস উল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মোস্তফা কামালের বক্তব্য ও কবিতা আবৃত্তি দর্শকের মধ্যে উদ্দীপণার সৃষ্টি করে।
ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পথচলার বর্ণনা দিতে গিয়ে মোস্তফা কামাল বলেন, ওয়াহিদ ভাইয়ের বন্ধু তালিকায় যেমন দেশ সেরা বিজ্ঞানীদের দেখা যায়, তেমনি তাঁর বন্ধু তালিকায় কাজের মানুষও বাদ পরে না। সবার প্রাণের আপনজন ছিলেন ওয়াহিদুল হক। তাঁর আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়েই কণ্ঠশীলন এখনও পথ চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে।
আবর্তন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ পর্বে শিক্ষার্থীরা কণ্ঠশীলন নিয়ে তাদের ভাবনা বিনিময় করেন। কেন্দ্রীয় খেলাঘরের শিশুদের দলীয় সঙ্গীতের পর আবৃত্তি করেন বিলকিস আহমেদ, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কেএম শহীদুল্লাহ কায়সার। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এভারেস্ট বিজয়ী, কণ্ঠশীলনের জীবন সদস্য এমএ মুহিত।
কেরাণীগঞ্জের কল্যাণ পরম্পরার সংগীতের পরে কণ্ঠশীলন পরিচালিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষার অষ্টাশীতিতম, ঊননবতিতম ও নবতিতম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন লেখক, গবেষক মফিদুল হক। তদক্ষশীলার শিশুদের ব্রতচারী নৃত্যের পরে দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন কথা আবত্তি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা।
এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অভিনেতা ও পরিচালক গাজী রাকায়েত। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর দলীয় সংগীতের পরে একক আবৃত্তি করেন দেশের প্রথিতযশা আবৃত্তিশিল্পীরা। তাঁর হলেন, নিরঞ্জন অধিকারী, ড. ভাস্বর বন্দ্যপাধ্যায়, ডালিয়া আহমেদ, রফিকুল ইসলাম, মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, খালেক মল্লিক, নায়লা তারান্নুম চৌধুরি কাকলি, তামান্না তিথি, মাসুম আজিজুল বাসার ও শরীফ মজুমদার।
কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ারের গ্রন্থণা ও নির্দেশনায় ‘মহীয়সী রোকেয়া’র পরে কিশোরগঞ্জ গণসাংস্কৃতিক সংস্থার পালাগান ময়মনসিংহ গীতিকা থেকে ‘কমলা সুন্দরী’ পরিবেশন করেন মতিউর রহমান খোকন বয়াতি, এবং বঙ্গবন্ধুর জারীগান পরিবেশন করেন সুজন নাথ ও দোহারবৃন্দ।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুইদিনের এই আনন্দযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটে।