এবারের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সরকারি অনুদানে ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছে। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র্র ‘কালের পুতুল’-এর নির্মাতা আকা রেজা গালিব ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের দু’জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ মোট ছয়জনকে এ অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ তালিকা দেয়া হয়েছে।
স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে সরকারি অনুদান পাওয়া তালিকাভুক্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে আকা রেজা গালিবের চলচ্চিত্র ‘ধড়’, বাংলাদেশ ও চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) প্রাক্তন শিক্ষার্থী ঝুমুর আসমা জুঁই প্রামাণ্যচিত্র দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস ও জান্নাতুল ফেরদৌস শিশুতোষ চলচ্চিত্র আড়ং -এর জন্য অনুদান পাচ্ছেন।
এছাড়াও মো.মাসুদুর রহমান ‘ঘরগেরস্থি’ এসএম কামরুল আহসান ‘ঘরে ফেরা’ও এমএম জাহিদুর রহমান ‘ওমর ফারুকের মা’চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান পাচ্ছেন।
অনুদানপ্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে চলচ্চিত্রগুলো নির্মাণ করতে হবে এমনটাই জানা গেছে। নির্মাতা আকা রেজা গালিব খুব শীঘ্রই চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এর আগে কালের পুতুল নামের একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র্র নির্মাণ করেন।
নির্মাতা ঝুমুর আসমা জুঁই কালচারাল ইয়ার্ডকে জানান, ঈদের পর থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শুরু করবো। তবে এর আগে কয়েক মাস থেকে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও শুটিংয়ের যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ সেরে রেখেছি। ঝুমুর আসমা জুঁই ও জান্নাতুল ফেরদৌস এর আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের (বিসিটিআই) প্রযোজনায় দু’টি প্রামাণ্যচিত্র ও ১টি কাহিনীচিত্র নির্মাণ করেন।