বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুলের জানাজা আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকাল ১১টায় তাঁকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হবে। সেখানে সর্বসাধারণ তাঁকে শেষ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মামুন।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে লাইফ সাপোর্ট থেকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সম্পাদক সাইদুল আনাম টুটুল। ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এই বরেণ্য চলচ্চিত্রকার। এ সময় স্ত্রী মোবাশ্বেরা খানম তাঁর পাশে ছিলেন।
সাইদুল আনাম টুটুল স্ত্রী এবং দুই কন্যা রেখে গেছেন। বড় মেয়ে ঐশী আনাম গতকাল সোমবার দেশে ফিরলেও ছোট মেয়ে অমৃতা আনাম ফিরবেন আগামীকাল বুধবার। ছোট মেয়ে ফেরার পরেই তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত শনিবার রাত ২টায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখেন।
সম্প্রতি সরকারি অনুদানে ‘কালবেলা’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছেন তিনি। ২০০১ সালে আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত ‘নারীর ৭১ ও যুদ্ধপরবর্তী কথ্যকাহিনী’ অবলম্বনে ‘কালবেলা’ ছবি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সাইদুল আনাম টুটুল ডিরেক্টরস গিল্ডের প্রথম সাধারণ সম্পাদক ও আজীবন সদস্য। তিনি ২০০৩ সালে ‘আধিয়ার’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ব্যাপক প্রশংসিত হন। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সম্পাদক। তিনি ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ চলচ্চিত্র সম্পাদনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
এছাড়া তিনি সালাউদ্দিন জাকী নির্মিত ঘুড্ডি, শেখ নেয়ামত আলী নির্মিত দহন, মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত দীপু নাম্বার টু-সহ বহু সিনেমার সম্পাদক ছিলেন।