নিজস্ব প্রতিবেদক :
চ্যানেল আইয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের এক মহাযজ্ঞ ‘ইস্পাহানী মির্জাপুর চ্যানেল আই বাংলা খেয়াল উৎসব’। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এটি।
বাংলা ভাষায় খেয়ালকে জনপ্রিয় করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দা থেকে এই উৎসব সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাংলা খেয়াল প্রযোজনা করছেন অনন্যা রুমা।
বাংলা খেয়াল উৎসব নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে ‘বাংলা খেয়াল উৎসব’ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন উৎসবের অন্যতম আয়োজক, বাংলা খেয়ালের উদ্যোক্তা, সংগীতজ্ঞ ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আজাদ রহমান।
তিনি বলেন, সংস্কৃতির যে পরিশীলন হয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মাধ্যমে। এই সংগীতকে প্রসারের জন্য চ্যানেল আই কাজ করছে। আগে খেয়াল শোনার ব্যাপারে মানুষ আগ্রহী হয়নি, চ্যানেল আইয়ের এ উৎসবের কারণে অনেকেই খেয়াল শোনা এবং চর্চার ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে সংস্কৃতির বিভিন্ন অংশ প্রসারে কাজ করে। খেয়াল তথা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত যে কোনো সঙ্গীতের প্রাণ। ছোটবেলায় যখন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত টেলিভিশনে দেখতাম, তখন সেভাবে আগ্রহ দেখানো হতো না। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। সুন্দরভাবে খেয়াল বা উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশিত হচ্ছে। মানুষের দৃষ্টিও বদলাচ্ছে। খেয়াল উর্দু, হিন্দিতে হতো। এখন বাংলায় খেয়াল হচ্ছে। আর কয়েক বছরের মধ্যে বাংলা খেয়ালের আরও বড় উৎসবে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইস্পাহানী মির্জাপুর চা এর সেলস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজার মো. হারুন। বাংলা খেয়াল ও চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে থাকতে পেরে তার কোম্পানির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান। অন্যানের মধ্যে আরও ছিলেন করিম শাহবুদ্দিন,অনীল কুমার সাহা, হারুনুর রশিদ, সেলিনা আজাদ প্রমুখ।
অনন্যা রুমা বলেন, এর আগে যারা গান করেছেন তারাই গাইবেন। থাকবেন ৪৫ জন একক শিল্পী, ২০০ শিশুর মাধ্যমে বাংলা খেয়াল উদ্বোধন এবং ১০ দলে ১০০ জন শিল্পীর পরিবেশনা।