দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃৎ ও চলচ্চিত্র শিক্ষক প্রয়াত মুহম্মদ খসরুর বিশাল সংগ্রহ নিয়ে তাঁর নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান মুহম্মদ খসরু চলচ্চিত্র অধ্যয়ন কেন্দ্র। কেরানীগঞ্চের রোহিতপুরে অবস্থিত তার নিজ বাড়িতে তৈরি প্রতিষ্ঠানটির অর্ধেক কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। তাঁর রেখে যাওয়া বাকি কাজ শেষ করে অধ্যয়ন কেন্দ্রটির কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চলচ্চিত্র সংসদকর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃৎ মুহম্মদ খসরু’র স্মরণ-সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম, সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
গেল বছর কেরানীগঞ্চের রোহিতপুরে তাঁর বাসভবনে সংষ্কৃতি মন্ত্রনালয়ের আর্থিক অনুদান ও নিজ অর্থায়ন মিলিয়ে নিজের সংগ্রহগুলো নিয়ে তিনি গড়ে তুলেন ফিল্ম স্টাডি সেন্টার। এই সেন্টারের ৫০ ভাগ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত বছরের ১১ আগস্ট মুহম্মদ খসরুর উপস্থিতিতেই চলচ্চিত্র সংসদের এক সভায় এর নামকরণ করা হয় মুহম্মদ খসরু চলচ্চিত্র অধ্যায়ন কেন্দ্র। ১৬ নভেম্বর এ কেন্দ্রের খসড়া রুপরেখা প্রনয়ন করা হয়।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ মার্চ চলচ্চিত্র অধ্যয়ন কেন্দ্র’র কাজ এগিয়ে নিতে একটি সভা হয়। সেখানে তাঁর পরিবারের সদস্য ও রুহিতপুরের গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলো। এ কেন্দ্রের কাজ ত্বরান্বিত করতে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এ সভায়। এর সার্বিক কাজের তদারকিতে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্তও হয়। সে অনুযায়ী খসরুর স্মৃতির স্মরণে চলচ্চিত্র অধ্যয়ন কেন্দ্র’র অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এদিকে চলতি বছরে চলচ্চিত্র সংসদের ৫৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে অক্টোবরে মুহম্মদ খসরু স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর স্মরণ সভায়।
চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃৎ মুহম্মদ খসরু’র স্মরণ-সভায় চলচ্চিত্রকার নাসির উদ্দিন ইউসূফ বাচ্চু, মোরশেদুল ইসলাম, মসিহউদ্দিন শাকের, স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি, সাংবাদিক শ্যামল দত্তসহ বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার, নির্মাতা, চিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের নেতা-কর্মীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।