নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক ও চিত্রনায়ক আলমগীরের জন্মদিন আজ। ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। চার দশক ধরে ঢালিউডের চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক হিসেবে নিজেকে শীর্ষে ধরে রেখেছেন তিনি। তিনি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন। তাঁর এই জন্মদিনে পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও চলচ্চিত্রের দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা ও ভক্তরা তাঁকে বিভিন্নভাবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। সবার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছায় সিক্ত তিনি। গুনী এই চিত্রনায়কের জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
আলমগীর কুমকুমের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আমার জন্মভূমি-তে অভিনয়ের মাধ্যমে আলমগীরের অভিষেক। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপর তিনি অভিনয় করেন দস্যুরাণী, লাভ ইন শিমলা, জিঞ্জীর, গুন্ডা, রজনীগন্ধা, ভাত দে চলচ্চিত্রসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত ও পরিচালিত সর্বশেষ ছবি ‘একটি সিনেমার গল্প’।
১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আলমগীর কামাল আহমেদ পরিচালিত সিনেসা মা ও ছেলে-তে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। অপেক্ষা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি দ্বিতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯), মরণের পরে (১৯৯০), পিতা মাতা সন্তান (১৯৯১), ও অন্ধ বিশ্বাস (১৯৯২) চলচ্চিত্রের জন্য টানা চারবার তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। কাজী হায়াৎ পরিচালিত দেশপ্রেমিক চলচ্চিত্রে একজন চলচ্চিত্র পরিচালকের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি সপ্তমবারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৮৫ সালে আলমগীরের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র নিষ্পাপ মুক্তি পায়। এই বছর তিনি নির্মাণ করেন নির্মম। এতে তার সাথে অভিনয় করেন শাবানা, শাবনাজ ও বাপ্পারাজ। ছবিটি সমাদৃত হয় এবং শাবনাজ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
চিত্রনায়ক আলমগীরের আরও খবর :
⇒ আলমগীরের একটি সিনেমার গল্প
২০১০ সালে আলমগীর শাহাদাত হোসেন লিটন পরিচালতি জীবন মরনের সাথী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর কে আপন কে পর চলচ্চিত্রে টানা দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সর্বশেষ বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননায় ভুষিত হন তিনি।
তিনি চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন। আগুনের আলো চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর তিনি কার পাপে, ঝুমকা ও নির্দোষ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন।
১৯৭৩ সালে আলমগীর গীতিকার খোশনুর আলমগীকে বিয়ে করেন। তাঁর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আলমগীর ১৯৯৯ সালে গায়িকা রুনা লায়লাকে বিয়ে করেন।
আলমগীর ও খোশনুর আলমগীরের একমাত্র মেয়ে গায়িকা আঁখি আলমগীর।