ঢাকাই চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে নতুন কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া। নতুন করে আরও কিছু হলে প্রজেকশন মেশিন বসানো, সিনেমা হলের সার্ভার, প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের ভাড়া ফ্রি করে দেয়াসহ বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে নতুন উদ্যোগে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও মো. আলিম উল্লাহ খোকন এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান।
মো. আলিম উল্লাহ খোকন জানান, ২০১২ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখে। ডিজিটাল সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করে সে বছরই প্রতিষ্ঠানটি ‘ভালোবাসার রং’ নামে ডিজিটাল সিনেমা নির্মাণ করে। এরপর জিজিটাল প্রজেকশন বসিয়ে দেশের কিছু হল ডিজিটাল করে সিনেমা মুক্তি দেয়। বতর্মানে ৩১০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রতিষ্ঠানটির প্রজেকশন রয়েছে। এছাড়া ২১টি প্রেক্ষাগৃহ নতুন করে চালু করেছে জাজ। অতীতের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে বর্তমানে ৩৩০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রজেকশন মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আরো প্রজেকশন বসানোর জন্যও জাজ প্রস্তুত।
তিনি জানান, সিনেমা মুক্তির জন্য সফটওয়্যার আরো আধুনিক ও সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজকদের সিনেমা প্রযোজনা করায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভিপিএফ বিল যৌক্তিকভাবে কমানো হয়েছে। এছাড়া সিনেমা হলের সার্ভার, প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের ভাড়া ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। সিনেমা হলগুলোতে সহযোগিতা করতে দক্ষ জনবল নেয়া হয়েছে।
জাজ মাল্টিমিডিয়া দেশের চলচ্চিত্রের অবস্থা পর্যালোচনা করে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা এবার মাথায় রাখছে ছবির প্রযোজক ও পরিচালকদের। প্রযোজকদের যেখানে অভিযোগ সিনেমা মুক্তি দিতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। যে কারণে তারা সিনেমা প্রযোজনায় আগ্রহ হারাচ্ছেন। চলচ্চিত্র দিনে দিনে সিনেমা শূন্য হয়ে পড়ছে। প্রত্যেক বছরই সিনেমা নির্মাণ সংখ্যা কমে যাচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই সিনেমা হলগুলো বন্ধের উপক্রম। কিছুদিন আগে হল মালিকরা নতুন সিনেমা না থাকায় ও কিছু দাবি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দেন। এ সব বিবেচনায় রেখে নতুন উদ্যমে কাজ করবে জাজ মাল্টিমিডিয়া।