কিংবদন্তী অভিনেতা, পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। টানা তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আজ রবিবার রাতে তাকে কেবিনে নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুস্থ বোধ করেন প্রবীন এই অভিনেতা। এরপর তার শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।
গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর পায়ুপথে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষে ডাক্তার জানান, তিনি এখন ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় আছেন।
একুশে পদক ও পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরি পরিচালিত বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতার পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য।
১৯৬৫ সালের দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপরে কখনও প্রধান চরিত্র, কখনও কৌতুক অভিনেতা, আবার কখনও খলনায়ক– প্রতিটি জায়গায়ই রেখেছেন তাঁর অভিনয়ের স্বাক্ষর।
উদয়ন চৌধূরি ছাড়াও কাজী জহির, খান আতাউর রহমান, সুভাষ দত্তের সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
২০০৯ সালে শাবনূর-রিয়াজ জুটিকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্রকার। ছবির নাম ‘এবাদত’।