নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো নতুন নৃত্যনাট্য ‘হো চি মিন’-এর দুটি প্রদর্শনী। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তুরঙ্গমী ড্যান্স থিয়েটারের আয়োজনে নৃত্যনাট্যটি অনুষ্ঠিত হয়। ৪০ মিনিটের নৃত্যনাট্যে উঠে আসে ভিয়েতনামের জাতির জনক, কিংবদন্তী নেতা হো চি মিনের জীবন, সংগ্রাম ও জীবনদর্শন।
নাটকটির মূল ভাবনা, পাণ্ডুলিপি, নকশা, নির্মাণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সুমন সরকার।নৃত্যনাট্যটিতে হো চি মিনের কণ্ঠ ও তাঁর লেখা কবিতার মনোমুগ্ধকার আবৃত্তি ছিল। ছিলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের গানের সুরও।
২ সেপ্টেম্বর সমাজতান্ত্রিক ভিয়েতনামের দ্রষ্টা হো চি মিনের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী ও দেশটির জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ভিয়েতনাম সরকারের আহ্বানে নৃত্যনাট্যটি বাংলাদেশের নাচের দলটি তৈরি করেছে।
ঢাকার মঞ্চে এবারই প্রথম নাচের মধ্য দিয়ে একজন সংগ্রামী মানুষের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমদিনের দুটি প্রদর্শনীতেই ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। দ্বিতীয় দিনে মিলনায়তন সংরক্ষিত ছিল আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। ওই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হলেন্সটাইন, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও টাবাজারা ডি অলিভিয়েরা, কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পাক সং ইয়োপ, ইতালির রাষ্ট্রদূত এন্রিকো নুনজিয়াটা, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভ্রিম ওজতুর্ক, দারুসসালামের রাষ্ট্রদূত হাজি হারিস বিন ওথম্যান, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার আমির ফরিদ বিন আবু হাসান, সিঙ্গাপুরের কনসাল উইলিয়াম চিক, নেপাল, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ডেনমার্ক দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্টিফেন করলিস।
নৃত্যনাট্য ‘হো চি মিন’ দেখে নাট্যজন আতাউর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মনোমুগ্ধকর, সুষমামণ্ডিত ও মেদহীন ছিল এই প্রযোজনা। আমি আমার তরুণ বয়সের হিরো সাম্যবাদী ইন্দোচীনের আপসহীন নেতা হো চি মিনকে অনেকখানি খুঁজে পেলাম।’
বাংলাদেশে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ট্রান ভান খোয়া বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো জীবনীভিত্তিক ড্যান্স থিয়েটার মঞ্চায়িত হলো। ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের ইতিহাসের মধ্যে অনেক মিল আছে। আমি এই প্রযোজনা নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।’
তুরঙ্গমী পরিচালক পূজা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমাদের পুরো দল অনেক পরিশ্রম করেছে। দর্শকদের মতগুলো ইতিমধ্যেই আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। প্রযোজনাটি নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলতে চাই না। আমি যা বলতে চেয়েছি, সেটা আমার কাজের মাধ্যমেই বলেছি।
হো চি মিনের মতো এত বড় মাপের নেতার জীবন নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করেন পূজা সেনগুপ্ত।