নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাত পোহালেই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার দিলেন বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী অভিনেত্রী শিল্পী সমিতির সভাপতি প্রার্থী মৌসুমী।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনব্যাপী ২০১৯-২১ মেয়াদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এফডিসিতে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে নির্বাচন চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। শেষ সময়ে তাই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই বাংলা ছবির হার্টথ্রব চিত্রনায়িকা মৌসুমীও। তিনি সভাপতি পদে প্রথমবারের মতো নারী প্রার্থীও। নির্বাচনী ইশতেহারে তাই ৮ দফা প্রতিশ্রুতি দিলেন শিল্পী সমিতির উন্নয়নে।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া মৌসুমীর নির্বাচনী ইস্তেহারগুলো হলো- ১. শিল্পীকে তার আত্মসম্মানের জায়গায় দেখতে চাই। ২. শিল্পী সমিতির অফিশিয়াল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা যাতে শিল্পী সমিতির সকল কার্যক্রম ও সম্মানিত সদস্যদের ডাটাবেজ ওয়ান ক্লিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। ৩. শিল্পী সমিতির নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হবে।
৪. শিল্পী সমিতির থেকে ওয়েব সিরিজ বের করা হবে। তা থেকে লাভের সম্পূর্ন অংশ শিল্পী সমিতির তহবিলে প্রদান করা হবে। এর এই ওয়েব সিরিজে শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে অনেকেই অভিনয় করবে। এবং অভিনয়ের জন্য পারিশ্রমিক পাবে। ৫. চলচ্চিত্রের বর্তমান দূরঅবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় এবং প্রযোজক পরিচালক সমিতি যে সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করছেন সেসব কার্যক্রমে একাত্ততা ঘোষণা করে কাজ করব।
৬. শিল্পীদের সহযোগিতায় প্রতিবছর একটি করে এক্সিভিশন আয়োজন করা হবে। সেখানে তারকাদের স্বাক্ষর, ছবিসহ মগ বিভিন্ন সুভিনিয়র বিক্রি করা হবে। এ থেকে আয় শিল্পী সমিতি ফান্ডে জমা করা হবে। ৭. বয়স্ক ভাতা চালু করব। বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত দাতাদের নিকট হতে ফান্ড সংগ্রহ করে আলাদা একটি একাউন্ট করে বয়স্ক ভাতা পরিচালনা করা হবে।
৮. সল্প আয়ের শিল্পীদের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে হস্ত শিল্প বা কুঠির শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। যে সকল শিল্পীদের হাতে কাজ কম তারা প্রতিদিন ভিত্তিতে এখানে কাজ করবে। এখান থেকে আয়কৃত টাকা শিল্পী সমিতির অ্যাকাউন্টে জমা দিয়ে শিল্পীদের কল্যানেই ব্যয় করা হবে।
শুক্রবার অনুষ্ঠেয় শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মৌসুমী স্বতন্ত্র পদে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী মিশা-জায়েদ প্যানেল। মিশা সওদাগর সভাপতি পদে লড়ছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন জায়েদ খান। স্বতন্ত্র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কোবরা।
এছাড়া দুটি সহসভাপতি পদে লড়ছেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সহসাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন আরমান ও সাংকোপাঞ্জা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও মামুনুন ইমন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন ও ডন।
১১টি কার্যকরী সদস্য পদের জন্য ১৪ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাঁরা হলেন অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, অঞ্জনা সুলতানা, জয় চৌধুরী, নাসরিন, বাপ্পারাজ, মারুফ আকিব, রোজিনা, রোঞ্জিতা, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন ও শামীম খান (চিকন আলী)।
ইতিমধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর ও কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আরও নিউজ :
⇒ আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ১৮ পদে ২৭ প্রার্থী
⇒ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২৫ অক্টোবর
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ গত ২৪ মে শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। সর্বশেষ গেল ১৯ সেপ্টেম্বর কার্যকরি কমিটির বৈঠকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিনেমা শিল্পীদের এই সংগঠনের।