নিজস্ব প্রতিবেদক :
রঞ্জন ঘোষ পরিচালিত সিনেমা ‘আহা রে’ গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মুক্তি পায়। ছবিটিতে বাংলাদেশের আরিফিন শুভ অভিনয় করেন। তার বিপরীতে অভিনয় করেন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সিনেমাটি গত ডিসেম্বরে জি বাংলা সিনেমায় টিভি প্রিমিয়ারও হয়। এবার ছবিটি প্রদর্শিত হলো ঢাকায়। অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের মুল মিলনায়তনে দেখানো হয়। পরিচালক রঞ্জন ঘোষ ও নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ঢাকার দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে উৎসবে চলচ্চিত্রটি দেখেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৫টায় ছবিটির প্রদর্শন হয়। প্রদর্শনীতে দুই দেশের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। ছবি শুরুর আগে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক ও নায়িকা।
কলকাতার একটি হিন্দু বিধবা মেয়ের প্রেমে পড়ে ঢাকার মুসলমান ছেলে। দুই বাংলার দু্ই ধর্মের মানুষ এক হতে চায়। সামাজিক ও ধর্মীয় বাধা ডিঙানোর পাশাপাশি দেশের সীমানাও এক হয়ে যায় এই দুইজনের এক হওয়ার মধ্য দিয়ে।
পরিচালক রঞ্জন ঘোষ বলেন, এই ছবির প্রধান বিষয় খাবার। খাবারের সূত্র ধরে ঢাকার একজন শেফ রাজের সঙ্গে পরিচয় কলকাতার বসুন্ধরার। এই খাবারকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে ছবির কাহিনী। খাবার শুধু দু’জনকে কাছেই আনে নি, কাছে নিয়ে এসেছে দুই ধর্মের, দুই দেশের মানুষকে। ছবির শেষও হয়েছে খাবারের মধ্য দিয়ে। যে খাবার নিয়ে দু’জনের পরিচয়। এর ধারাবাহিকতায় বজায় ছিলো তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্য দিয়ে।
চিত্রনায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান, ‘আহা রে’ সিনেমাটি দুই বাংলার মানুষকে আবারও একসূত্রে গেঁথেছে। তার চরিত্র যার নাম বসুন্ধরা, একটি হিন্দু বিধবা মেয়ে। এই চরিত্রটি তাকে একটি নতুন দিক উন্মোচনে সহায়তা করেছে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক অটুট আছে, অটুট থাকবে। সামনে তিনি এখানকার আরও সিনেমা করবেন।
আরিফিন শুভ সম্পর্কে তিনি জানান, শুভ একজন সম্ভবনাময় অভিনয়শিল্পী। যে বাংলাদেশের সিনেমাকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। তিনি শুভর সঙ্গে দু’টি সিনেমা করেছেন। সুযোগ হলে সামনে তিনি শুভর সঙ্গে আরও সিনেমা করবেন বলে জানান।
এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে সহ আরও অনেকে।