নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের বিকল্প চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত, বিকল্প চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের জন্মদিন আজ। তিনি একাধারে চিত্রনাট্যকার, লেখক ও চলচ্চিত্রের শিক্ষক হিসেবেও সমাদৃত। দেশভাগ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে তিনি নির্মাণ করেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র। বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই ব্যাক্তিত্ব।
১৯৫৫ সালে খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি একজন রাজনীতিসচেতন চলচ্চিত্র নির্মাতা। ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের বিকল্প চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত। বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃত চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক আলমগীর কবিরের প্রতিষ্ঠিত ফিল্ম ইনস্টিটিউটে চলচ্চিত শিক্ষায় হাতেখড়ি।
আশির দশক থেকে এখন অবধি তিনি প্রায় ২২টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। বিশেষ করে তিনি ১৯৪৭ এর দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক কাহিনীচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। সবশেষ তিনি স্বদেশী আন্দোলন, দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একজন ত্যাগী বামপন্থী নেতার জীবনী নিয়ে নির্মাণ করেছেন সিনেমা ‘রূপসা নদীর বাঁকে’। তাঁর ছবিটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়।
এ সংক্রান্ত খবর : তানভীর মোকাম্মেলকে নিয়ে প্রসূন রহমানের সিনেমা
তানভীর মোকাম্মেল ‘ র চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্মৃতি একাত্তর (১৯৯১), একটি গলির আত্মকাহিনী (১৯৯৩), নদীর নাম মধুমতী (১৯৯৫), অচিন পাখি (১৯৯৬), চিত্রা নদীর পারে (১৯৯৯), লালসালু (২০০১), লালন (২০০৪), কর্ণফুলীর কান্না (২০০৫), তাজউদ্দীন আহমদ: নিঃসঙ্গ সারথি (২০০৭), বস্ত্রবালিকারা (২০০৭), স্বপ্নভূমি (২০০৭), রাবেয়া (২০০৮), , দ্য জাপানীজ ওয়াইফ (২০১২), জীবনঢুলী (২০১৪), ১৯৭১ (২০১১) ও সীমান্তরেখা (২০১৯)
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে তানভীর মোকাম্মেল
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তানভীর মোকাম্মেল। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন।
চিত্রা নদীর পারে, লালসালু ও নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি দেশে বিদেশে অসংখ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।