করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থগিত পুরো বিশ্ব। বন্ধ রয়েছে পুরো বিশ্বের সিনেমা। ঘরবন্দি লাখো মানুষ। এর মধ্যেই নির্মিত হলো সিনেমা ‘করোনা’। কানাডিয়ান পরিচালক মোস্তফা কেশভরি নির্মাণ করে ফেললেন করোনা নিয়ে এ সিনেমাটি। তবে সারাবিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণার আগেই তিনি করে ফেললেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট, শুটিং ও পোস্ট প্রডাকশন। ইতোমধ্যেই অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির ট্রেলার।
চীনে যখন করোনা ভাইরাস বিস্তার লাভ করে। তখনই ‘উহান ভাইরাস’ শিরোনামে একটি খবর পড়েন তিনি। এ খবর পড়েই জানুয়ারির শেষে ছবিটির স্ক্রিপ্ট করে ফেললেন। সারাবিশ্ব লকডাউনের আগেই শেষ করে ফেললেন শুটিং ও পোস্ট প্রডাকশনের কাজ। একটি লিফটের মধ্যে গড়ে উঠেছে তার ছবির কাহিনী।
৬৩ মিনিট সময়কালের সিনেমাটি একটি লিফটের মধ্যে সাতজন ব্যক্তির আটকা পড়া ও তাদের মধ্যে একজনের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার গল্প। থ্রিলারধর্মী এই সিনেমায় দেখা যাবে কেমন হতে পারে মানুষের বাঁচার আকুতি।
সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক মোস্তফা কেশভরি জানান, বাস্তব জীবনের নানান বৈষম্যের শিকার হয় মানুষ। এ বৈষম্যের নানা দিক এ ছবিটিতে উঠে আসবে। তিনি বলেন, কানাডায় অনেক চীনা নাগরিক বাস করেন। এছাড়া এশিয়ানরাও আছেন। এখানকার অনেকের ধারণা ছিল যে করোনা ভাইরাসে শ্বেতাঙ্গরা আক্রান্ত হবে না। কিন্তু ভাইরাসটি কোন বৈষম্য করেনি।
মোস্তফা কেশভরি জানান, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে করোনা সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা শুরু করেন তিনি। তিনি দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ক্রিপ্ট তৈরি করে ফেলেন। সিনেমার সেট তৈরি করতে তার মাত্র ১০দিন লাগে। তিনি খুব কম বাজেটে একটা জায়গা ভাড়া নিয়ে একটি লিফট তৈরি করেন। তবে সিনেমাটা শেষ করতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
পরিচালক আরও জানান, ফেব্রুয়ারিতে তিন দিন শুটিং করতেই সিনেমার ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়ে যায়। ফুরিয়ে যায় বাজেটও। ততদিনে কানাডায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার আগেই তিনি সিনেমাটা শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাই ভেবেছিল সিনেমাটা শেষ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এর মধ্যেই সিনেমা শেষ করা হলো। কিন্তু যেহেতু ছবিটি মানবতার কথা বলেছে, তাই আমরা কাজটা শেষ করতে পেরেছি।’