নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী আফসারী। যিনি রোজী সামাদ নামেও পরিচিত। জীবন থেকে নেয়া, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্য সংগ্রাম, সূর্য গ্রহণ, অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনেসহ অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি চিত্র অভিনেত্রী রোজী আফসারীর জন্মদিন আজ।
তাঁর পুরো নাম শামীমা আক্তার রোজী। ১৯৪৯ সালের ২৩ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এই অভিনেত্রীকে কালচারাল ইয়ার্ড স্মরণ করছে ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।
১৯৬৪ সালে জিল্লুর রহিম পরিচালিত এইতো জীবন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শুরু অভিনয়। এরপর চার দশকে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রথম শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
রোজী আফসারী অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে এইতো জীবন (১৯৬৪), সঙ্গম (১৯৬৫), জাগে হুয়া সাভেরা (১৯৬৬), এতটুকু আশা (১৯৬৮), নীল আকাশের নিচে (১৯৬৯), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), রংবাজ (১৯৭৩), তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩), আলোর মিছিল (১৯৭৪), লাঠিয়াল (১৯৭৫), সূর্যগ্রহণ (১৯৭৬), রূপালী সৈকতে (১৯৭৭), অশিক্ষিত ও গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), সূর্য সংগ্রাম (১৯৭৯), এই ঘর এই সংসার (১৯৯৫) ও সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা পরম প্রিয় (২০০৫)।
জহির রায়হানের কালজয়ী সিনেমা জীবন থেকে নেওয়া সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র সাথী। সাথী ও বীথি দুই বোন। একজন আনোয়ার হোসেন দেশপ্রেমিক স্বাধীনতাকামী একজন রাজনৈতিক নেতা। তাঁর দেশপ্রেমিক বোনের চরিত্রে ও একজন গৃহবধুর চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেন তিনি। তাঁর অনবদ্য অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শক মনে রেখেছেন। যেমন মনে রেখেছেন তাঁর নীল আকাশের নিচে সিনেমার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাদামাটা ভাবীর চরিত্র। তেমনি আবারও গোলাপী এখন ট্রেনে সিনেমায় গোলাপীর মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ে মুগ্ধ হতে হয়। কালজয়ী সব সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ে রোজী আফসারী শীর্ষে।
প্রথম জীবনে তিনি চলচ্চিত্রকার আব্দুস সামাদকে বিয়ে করেন। পরে ১৯৮১ সালে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক মালেক আফসারীকে বিয়ে করেন। সামাদ-রোজী দম্পতির সন্তান কবিতা সামাদ ও আফসারী-রোজী দম্পতির সন্তান রবি আফসারী।
২০০৭ সালের ৯ মার্চ রোজী আফসারী ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মারা যান।