নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারাবিশ্বের লাখ লাখ মানুষ আজ ঘরে বন্দি। বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করেছে এই ভাইরাস। দেশে ও বিদেশে থাকা তারকারা এই ঘরবন্দি সময়ে মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এসে কথা বলছেন। কেউ নিজের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশী তারকারা সবাইকে শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে মানবিক দুরত্ব ঘুচানোর কথা বলছেন।
এর ধারাবাহিকতায় নিজ নিজ ঘরে থেকে একাট্টা হলেন বাংলাদেশের প্রবাসী তারকারা। একটি ভিডিওবার্তায় হাজির হয়েছেন ২১ জন প্রবাসী তারকা। এই করোনা সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে সহস্র সুমনের ‘এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলে’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন তারা। আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নিয়েছেন তারা। ভিডিওটি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
ভিডিওটিতে এক সময়ের টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় তারকা মোনালিসা আবৃত্তি করেন, ‘এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলে পরিবারের সবাইকে জড়িয়ে ধরে অনেক করে কাঁদব।’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রোমানা খান পড়েন, ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে অন্যের কথা ভাবব।’
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী পড়ে শোনান, ‘বন পাহাড় আর সাগর দেশে, বিনয় বেশে নত হব।’ শিরিন বকুল পাঠ করেন, ‘ঘর থেকে বের হয়ে প্রথমে নদীর কাছে ক্ষমা চাইব।’
অভিনেত্রী তমালিকা কর্মকার আবৃত্তি করেন ‘আর হব না রাশভারী, থামিয়ে দেব লোভ লালসার রাহাজানি।’
এদিকে তারকা দম্পতি টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েস একত্রে আবৃত্তি করেন, ‘নতুন করে স্কুলে যাব, কলেজে যাব, ফুচকা খাব, বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেব আর হাসিগুলো ছড়িয়ে দেব।’
অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল পাঠ করেন, ‘হরিণঘাতক তীর হব না, অসৎ পথের ভিড় হব না।’ তার স্ত্রী ও উপস্থাপক-অভিনেত্রী নওশীনের কন্ঠে আবৃত্তি শোনা যায়, ‘এ যাত্রায় সত্যি যদি বেঁচে যাই, যত অন্যায় পুষিয়ে দেব, যত হিংসা মিটিয়ে দেব।’
শোবিজ অঙ্গণের আরও খবর :
⇒ ঘরে বসে অনলাইনে এক হলেন পুরো বিশ্বের তারকারা
প্রবীণ অভিনেতা জামাল উদ্দিন আবৃত্তি করেন, ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে যার যেখানে অংশ আছে হিসাবগুলো চুকিয়ে দেব।’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ আছেন জর্জিয়ার আটলান্টায়। তিনি পড়ে শোনান, ‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে ভীষণ করে বাঁচব।’ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী ডলি জহুর। তিনি আবৃত্তি করেন, ‘ধর্ম নিয়ে মহাজনি, পবিত্র প্রাণের ইবাদত হব।’ প্রবীণ অভিনেত্রী আফরোজা বানু কানাডার অটোয়ায় থাকেন। তিনি পড়ে শোনান, ‘বেঁচে যদি যাই এবার, আমার শেকড় আমি সবখানে রাখব।’
নওশীন নেহরিন মৌর পরিকল্পনায় টনি ডায়েস ভিডিওটি পরিচালনা করেন। ভিডিওর শেষে এসে টনি ডায়েস বলেন, ‘আপনারা এতক্ষণ যাদের দেখলেন, আমরা সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরে আছি। কাউকে কিন্তু ঘর থেকে বের হতে হয়নি। কারণ পুরো পৃথিবী এক অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে, আমরাও করছি। আমরা সবাই এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই। কাউকে আমরা হারাতে চাই না।’