টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভার সংসার ভাঙলো অনেকদিন হলো। এরপর নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে সংসার পাতলো এই অভিনেতা। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই আবারও ভাঙলো অপূর্বের সংসার। অবশ্য কয়েক মাস ধরেই এ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে করোনকালীন সময়ে লকডাউনের মধ্যে সেই গুঞ্জনই সত্যি হলো।
অপূর্ব এ নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ না খুললেও রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের কথাটি স্পস্ট করলেন এবং সকলের কাছে দোয়া চাইলেন।
এর আগে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন নাজিয়া নিজেই। এর আগে নিজের ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন নাজিয়া। সেখানে তিনি লিখেন, ‘স্টপ কলিং মি ভাবি এভরিওয়ান।’ এছাড়া তিনি তার ম্যারিটিয়াল স্ট্যাটাসে দেন ‘ডিভোর্সড’।
রোববার বিকেলে দেওয়া তাঁর এ পোস্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় তাদের বিচ্ছেদের খবর। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে নাজিয়া হাসান অদিতি বলেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাই না। যদি কখনো মনে করি, তখন বিচ্ছেদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাব সবাইকে।
তবে এ সময় নাজিয়া অপূর্বের কোন সমালোচনা করেন নি। তিনি বলেন, ‘অপূর্ব একজন আদর্শ বাবা, প্রেমময় ভাই, দায়িত্বশীল পুত্র এবং একজন ভালো মানুষ। তিনি মিলিয়ন ফ্যানদের কাছে একজন সুপার ট্যালেন্টেড ব্যক্তি, এটা তিনি নিজেই অর্জন করেছেন। আমার মনে হয় তিনি সেখানেই সবচেয়ে যোগ্য। ফলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নয়, দয়া করে তার অসাধারণ কাজগুলো নিয়ে তাকে বিচার করুন।’
নাজিয়া আরও বলেন, অপূর্ব আমাকে জীবনের সেরা উপহার দিয়েছেন, তা আমার ছেলে জায়ান ফারুক আয়াশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা অসংখ্য কারণে একসঙ্গে থাকছি না। তবে আমি সবসময় তার সুখি ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি।
২০১১ সালের ১৪ জুলাই অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজিয়া হাসান অদিতির বিয়ে হয়। ২০১৪ সালের জুন মাসে তাদের সন্তান আসে পৃথিবীতে। এর আগে অপূর্ব ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। এক মাসের মাথায়ই ভেঙে যায় তাদের সংসার।