লকডাউনে ২ মাস বন্ধ থাকার পর টেলিভিশন নাটকের সংগঠনগুলো রোববার দুপুরে শর্তসাপেক্ষে শুটিং করা যাবে বলে নোটিশ জারি করে। তবে এর মধ্যে রোববার মধ্যরাতে সিদ্ধান্ত বদলে আবারও তারা সবধরণের নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। বন্ধের নোটিশ দেয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিরেক্টরস গিল্ড, প্রোডিউসার অ্যাসোসিয়েশন (টেলিপ্যাব), অভিনয় শিল্পী সংঘ ও নাট্যকার সংঘ।
রোববার মধ্যরাতে সংগঠনগুলোর ফেসবুক পেজ ও হোয়াটসঅ্যাপে এই বার্তা দেওয়া হয়।
সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘টেলিভিশন মাধ্যমের সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ইতোপূর্বে আন্তঃসংগঠনকর্তৃক প্রদত্ত নোটিশে বলা হয়েছিল, আমরা বর্তমান সময়ে শুটিং কার্যক্রম শুরু করার বিপক্ষে। যেহেতু সরকার সীমিত আকারে দোকান চালু এবং লকডাউন সাময়িক শিথিল করেছে; তাই আমরাও সাময়িক শিথিলতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। একই সাথে নোটিশে এও বলা ছিল যে, শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া এই সিদ্ধান্তসমূহ যেকোনও সময় বাতিল হতে পারে। যেহেতু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে; তাই আন্তঃসংগঠন তাদের স্ব স্ব সংগঠন সমূহের সদস্যদের সুচিন্তিত মতামত ও জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে সাময়িক শিথিল অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
পরবর্তী সিদ্ধান্ত সরকারের ঘোষণার সাথে সমন্বয় করে জানানো হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে যারা ইতিমধ্যে শুটিং শুরু করেছেন তারা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করেন।
এর আগে গত মার্চ মাস থেকে লকডাউনের শুরু থেকে সংগঠনগুলো সমন্বিতভাবে সবধরণের শুটিং বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে গত ১০ মে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান শুটিংয়ে যান। ১১ মে একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের দৃশ্যধারণে অংশ নেন শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম।
এদিকে জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারার ব্যর্থতা ও শুটিং চালু করায় দায় কাঁধে নিয়ে গত ১৬ মে সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন টেলিপ্যাবের সভাপতি ইরেশ যাকের ও সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির।