চিত্রনায়িকা নিশাত জেরিন অরিন। লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার ২০১০-এর প্রতিযোগী হিসেবে শোবিজ অঙ্গনে পর্দাপণ। প্রয়াত নায়ক রাজ রাজ্জাকের পরিচালিত টেলিফিল্ম ‘শেষ থেকে শুরু’ দিয়ে শুরু হয় তার ক্যারিয়ার। এরপর টেলিফিল্ম ও টেলিভিশন নাটকে নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবসের নাটকগুলোতে দেখা গেছে তাকে। চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় গুনী পরিচালক কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ছিন্নমূল’র মাধ্যমে। ইতোমধ্যে ঢালিউডে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত পাঁচটি সিনেমা। পাশাপাশি টলিউডে অভিনয় করছেন তিনি। সেখানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে রঞ্জন চৌধুরীর ‘রঙমহল’ ও নেহাল দত্তের ‘অপরাজেয়’ নামে দুটি ছবি। এছাড়াও ঢালিউড ও টলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করছেন, যেগুলোর দৃশ্যধারণ করোনার কারণে থমকে আছে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড ১৯-এর সময়ে কি করছে, কি ভাবছেন এসব বিষয় নিয়ে কালচারাল ইয়ার্ডের সাথে কথা হয় এই অভিনেত্রীর।
কালচারাল ইয়ার্ড: এই গৃহবন্দি সময়ে কিভাবে কাটছে? অরিন: জীবনের অভ্যাসগুলো পাল্টে গেছে। অফুরন্ত সময়ে অলস হয়েছি। ঘুমের সময়ের কোন ঠিক নেই। ফেসবুক আর টিভির সংবাদও কেমন যেন একঘেয়েমিতে পরিণত হয়েছে।
কালচারাল ইয়ার্ড: করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। এই সময়ে নাটক ও সিনেমা কি ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন? অরিন: জীবনের প্রতিচ্ছবি সিনেমা আর নাটক। যদিও যেখানে দুই ধরনের স্টোরিলাইন থাকে, ফিকশন এবং নন ফিকশন. কোভিড-১৯ অর্থাৎ নন ফিকশনের দাপটে আমরা দিশেহারা। চারিদিকে মৃত্যুর সংবাদ। সারা পৃথিবী কেমন যেন থমকে গেছে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে হলে সিনেমা ও নাটককে জীবনমুখী ভাবনায় নির্মাণ করতে হবে। যা আমাদের পুরো সমাজকে নতুনভাবে সচেতন হয়ে কিভাবে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেই পথের দিশারি হতে পারে।
কালচারাল ইয়ার্ড: এই ব্যস্ততম পৃথিবীর মানুষ গৃহবন্দি হয়ে গেছে। ব্যস্ততা থেকে অখন্ড অবসর। এ সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান গাইছে, কেউ আবৃত্তিও করছে। সিনেমাও হচ্ছে। এ সময় কি মানুষের মানবিকতা আর সাংস্কৃতিকবোধের বিকাশ ঘটবে বলে মনে করেন কিনা? অরিন: গৃহবন্দি অবস্থায় মানুষের মানবিকতা ও সংস্কৃতিবোধের বিকাশ ঘটতে পারে না । কারণ সাধারণ জনগণ কিভাবে বেঁচে আছে। তা সচক্ষে দেখতে হবে, পাশাপাশি কষ্টগুলো উপলব্ধি করতে হবে। ঠিক সংস্কৃতির চর্চা ঘরে বসে একা একা বিকাশ করা দুরূহ।
কালচারাল ইয়ার্ড: করোনা পরবর্তী পৃথিবী সাংস্কৃতিক মানুষের জন্য কেমন হবে বলে মনে করেন? অরিন: করোনা পরবর্তী পৃথিবী সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে অনেক বেশি বাস্তবমুখী ও সচেতন হতে সহায়তা করবে। নতুন নতুন স্বপ্ন আর আশা নিয়ে বেঁচে থাকার পথ দেখাবে নিরন্তর। সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা আমাদের ভালোর জন্যই করেন ।
কালচারাল ইয়ার্ড: অবসর সময় আপনার অতীত স্মৃতিতে কি কি ভেসে আসে। কোন সময়টা ধরা দেয় স্মৃতিতে? অরিন: আমার কর্মক্ষেত্রের প্রচণ্ড ব্যস্ততা। স্বল্প সময়ের নতুন নতুন ক্যানভাসের মিষ্টি মুহূর্তগুলো বড়ই মিস করছি। প্রতিদিনই নতুন নতুন কাজ শেখা সব কিছুই দারুণভাবে মিস করছি।