ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত জনপ্রিয় শহর কান। যেখানে প্রতি বছরের মে মাসে আয়োজন হয় বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কান চলচ্চিত্র উৎসব। তবে এবারের করোনাকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে এ আয়োজন। তবে সমুদ্রতীরের খোলা প্রান্তরে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমা।
গাড়িতে করে পরিবার নিয়ে এসে গাড়িতে বসেই চলচ্চিত্র উপভোগ করছেন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। তবে এ আয়োজন শুধু স্থানীয়দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। স্থানীয়রা সৈকতমুখো কার পার্কিংয়ে গাড়িতে বসে ‘কান সিনো-ড্রাইভ’ শীর্ষক আয়োজন উপভোগ করছেন। গাড়ি থেকে কেউ বের হন না। সবার মুখেই থাকে মাস্ক।
প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই দর্শকরা পরিবারসহ গাড়ি করে সৈকতে চলে আসেন। সিনেমা হলের আবহ ধরে রাখতে তাদের হাতে থাকে পপকর্ন।
পরিবারের শিশুরা জানালা দিয়ে মাথা বের করে সিনেমা দেখে। ছোটদের জন্য এক সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হয় স্টিভেন স্পিলবার্গ’র আশির দশকের ধ্রুপদী সিনেমা ‘ই.টি. দ্য এক্সট্রা-টেরেস্ট্রিয়াল’।
ফ্রান্সে বন্ধ রয়েছে সিনেমা হল, থিয়েটার ও রেস্তোঁরা। এ সময়ে ঘরবন্দি সবাই। স্থানীয় এ সব মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে পাম গাছে সমৃদ্ধ কান সৈকতে খোলা আকাশের নিচে প্রাণজুড়ানো পরিবেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হচ্ছে।
পার্কিংয়ে প্রতিদিন ৫১টি করে গাড়ি আসতে পারে। এক এক করে লাইন ধরে প্রতিটি গাড়ি সৈকতে এসে পৌঁছায়। আয়োজকদের কর্মীরা সবাই ফেস-শিল্ড পরে প্রতিটি গাড়ির টিকিটের বারকোড স্ক্যান করেন।
এদিকে বিশ্বের অনেক দেশেই লকডাউন চলায় ভবনের দেয়ালে, বিলবোর্ডে কিংবা খোলা জায়গায় দর্শকদের বিনোদন দিতে ড্রাইভ ইন মুভি চলছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৩তম আসর আগামী ১২ থেকে ২৩ মে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালীন ফ্রান্সে লকডাউনের মধ্যে উৎসবটি পিছিয়ে জুনের শেষে বা জুলাইয়ের শুরুতে করার কথা বলা হয়। কিন্তু ফ্রান্স সরকার এ লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ায়।
এর আগে ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ডে হিটলার বাহিনী হামলা চালায়। এর জেরে ১৯৪৬ সালকে কানের প্রথম আসর ধরা হয় । এদিকে ১৯৬৮ সালের মে মাসে ফ্রান্সজুড়ে ছাত্র-শ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে বন্ধ হয় কান চলচ্চিত্র উৎসব।