সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ আহমেদ খান। বাবা প্রখ্যাত নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান ও মা উম্মে জোহরা হক, দুজনেই গানের মানুষ। ছোটবেলা থেকেই তাদের হাত ধরে সঙ্গীতে সাথে চলা। ২০০৮ সালে গানের রিয়েলিটি শো ‘চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ’ প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ইতোমধ্যেই তার বেশ কিছু একক ও মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। গান গাওয়ার পাশাপাশি গানের সুরও করছেন তিনি। শহীদুল হক খানের ‘যুদ্ধশিশু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তার অভিষেক হয়। সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি তিনি টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করছেন। করোনার লকডাউনে গৃহবন্দী হলেও থেমে যান নি তিনি। অনলাইনে গান গেয়ে করোনাকালে অসহায়, কর্মহীন ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনাকালীন এ ঘরবন্দী সময়ে ব্যক্তিজীবন, সঙ্গীত ও নানা বিষয় নিয়ে কালচারাল ইয়ার্ডের সাথে কথা বলেন এই সঙ্গীতশিল্পী।
কালচারাল ইয়ার্ড : এই গৃহবন্দি সময় কিভাবে কাটছে?
ইউসুফ আহমেদ খান : দেখুন, আর সবার মতই খুব অস্থির একটা সময় কাটছে, চারপাশে মানুষ খুব বাজে সময় কাটাচ্ছে, তবে সুস্থ থাকাটাই এখন সবচেয়ে বড় আশির্বাদ। আল্লাহ এখনও সুস্থ রেখেছেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, কিন্তু পারছি না ঠিকভাবে, এটা আহত করছে।
কালচারাল ইয়ার্ড : করোনা ভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত। এই সময়ে সঙ্গীত কি ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন।
ইউসুফ আহমেদ খান : মানুষের শক্তির একটা বিশাল উৎস মন। মনের প্রশান্তি আসে গানে। নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে, সুস্থ ধারার গান সুস্থ রাখে মন।
কালচারাল ইয়ার্ড : এই ব্যস্ততম পৃথিবীর মানুষ গৃহবন্দি হয়ে গেছে। ব্যস্ততা থেকে অখন্ড অবসর। এ সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান গাইছে, কেউ আবৃত্তিও করছে। সিনেমাও হচ্ছে। এ সময় কি মানুষের মানবিকতা আর সাংস্কৃতিকবোধের বিকাশ ঘটবে বলে মনে করেন কিনা।
ইউসুফ আহমেদ খান : সব কিছুর মাঝে কিছু ভালো / খারাপ দুই দিক থাকে। খুঁজে নিতে হয় ভালোটাই। আমার মনে হয়, সবাই ধীরে হলেও সঠিক উত্তর খুঁজে পাবে।
করোনাকালীন সময়ে সঙ্গীতশিল্পীদের ভাবনা
⇒ এখন শুধু অপেক্ষা, আবার কবে স্টেজে গান গাইবো : বেলী আফরোজ
কালচারাল ইয়ার্ড : করোনা পরবর্তী পৃথিবী সাংস্কৃতিক মানুষের জন্য কেমন হবে বলে মনে করেন।
ইউসুফ আহমেদ খান : জানি না সত্যি, কারণ মানুষ ভাবে এক, হয় আরেক। আমি তো দোয়া করি, যেন সব ভুল শুধরে নেবার ক্ষমতা মানুষের হয়। না হলে আরও অনেক বড় বিপদ অপেক্ষা করছে সামনে।
কালচারাল ইয়ার্ড : অবসর সময় আপনার অতীত স্মৃতিতে কি কি ভেসে আসে। কোন সময়টা ধরা দেয় স্মৃতিতে?
ইউসুফ আহমেদ খান : গুণী মানুষদের কথা, যেগুলো সময়ে মুল্য দেই নি, সেগুলো খুব মনে পড়ে। নানা ভাইকে খুব মিস করি। অনেক অনেক স্মৃতি। স্কুলের স্যার-ম্যাম সবাইকে মনে পড়ে। আর প্রিয় কিছু মুখ খুঁজে বেড়াই অজান্তেই।
কালচারাল ইয়ার্ড : কালচারাল ইয়ার্ডকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ইউসুফ আহমেদ খান : কালচারাল ইয়ার্ডকেও ধন্যবাদ।