মডেল ও অভিনেত্রী প্রিয়াংকা জামান। ক্যারিয়ারে শুরুটা হয়েছিলো বিটিভির ‘ছায়াছন্দ’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। ‘আড়ং’, ‘আরএফএল’, ‘ভ্যাসলিন লোশন’, ‘জিপি’সহ অনেক পণ্যের মডেল হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। ‘আজিজ মার্কেট’, ‘হৃদয় ঘটি ‘, ‘প্রেম থেরাপি’সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক ও একক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি আসিফ আকবর, ফজলুর রহমান বাবু, আরিফিন রুমী, কাজী শুভ, এফএ সুমনসহ অনেক শিল্পীর গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে পরিবর্তীত জীবনাচরণ ও নানা বিষয় নিয়ে কালচারাল ইয়ার্ডের সাথে কথা বলেন এই তারকা।
কালচারাল ইয়ার্ড : এই গৃহবন্দী সময়ে আপনার পরিবর্তীত জীবনাচরণ সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রিয়াংকা জামান : করোনার এ গৃহবন্দী সময়ে আমি কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে পেরেছি। যার মধ্যে ঘরের কাজ করা, নামাজ পড়া, আত্নশুদ্ধি করা। আমার এ যে গড়ে ওঠা জীবনাচরণ, লকডাউনের পরেও আমি যখন কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবো; এ ধরণের জীবনাচরণের মধ্যে দিয়ে আমি নিজেকে অতিবাহিত করার চেষ্টা করবো।
কালচারাল ইয়ার্ড : দেশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে আপনার অভিমত বলুন।
প্রিয়াংকা জামান : যখন আমাদের এ মহাবিশ্ব কোন বিপদের মধ্য দিয়ে যায়, তখন আমাদের তাৎক্ষণিক অনেক প্লানিং করে, সে অনুযায়ী কাজ করে থাকি। কিন্তু আমরা এ সময়ে তেমন কিছু চিন্তা করতে পারছি না। আমি মনে করি যে, আমাদের এখন সচেতনতার সাথে একটু একটু করে আমাদের কাজ শুরু করা উচিত। যতটুকু দুরত্ব মেনে কাজ করা যায়, সেটা করা উচিত। আস্তে আস্তে গার্মেন্টস, দোকান পাট খোলা হচ্ছে। আমাদেরও তো কাজ করে খেতে হয়। এভাবে সব দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে তো হবে না। আমাদের শুটিং শুরু করা উচিত এখনই।
করোনাকালীন সময়ে তারকাদের ভাবনা
⇒ করোনা পরবর্তী সময়ে শিল্পের মান অনেকখানি বেড়ে যাবে : নওশাবা
কালচারাল ইয়ার্ড : এই ব্যস্ততম পৃথিবীর মানুষ গৃহবন্দি হয়ে গেছে। ব্যস্ততা থেকে অখন্ড অবসর। এ সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি মানুষের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ ছবি আঁকছে, কেউ গান গাইছে, কেউ আবৃত্তিও করছে। এ সময় মানুষের প্রতিভা বিকাশ ঘটবে বলে মনে করেন কিনা?
প্রিয়াংকা জামান : লকডাউনের এ সময়ে আমরা ঘরে বসে অনেকে অনেক কিছু করতে পারি। আমরা যা করতে পারি, তা আমরা নিজেরাও জানতাম না। যেমন, আমি ঘরে বসে এ সময়ে আমার ঘরে কিছু পুরনো কাপড় আছে, সেগুলো কেটে আমি ডিজাইন শিখছি। এরপর ফ্লাওয়ার দিয়ে অনেক কিছু করা শিখছি, মেকাপ করা শিখছি, হেয়ার স্টাইল করছি। প্রতিটি মানুষের কিছু না কিছু প্রতিভা থাকে। তো এখনই সুযোগ নিজেদের প্রতিভা বিকাশে কিছু না কিছু করা। আমি মনে করি, এ সময় নিজেদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের চেষ্টা করা উচিত।
কালচারাল ইয়ার্ড : করোনা পরবর্তী পৃথিবী সাংস্কৃতিক মানুষের জন্য কেমন হবে বলে মনে করেন?
প্রিয়াংকা জামান : আমরা যারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করি, আমাদের জন্য পরবর্তী পৃথিবীটা ইতিবাচক হবে বলে আমি মনে করি। কারণ ঘরে থেকে আমাদের মধ্যে ইতিবাচক অনেক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। আমরা এ সময়ে নিজেদেরকে তৈরি করতে পেরেছি। যেমন, একটা উদাহরণ দিতে পারি এমন, আমরা যদি অসুস্থ হই, তখন কিন্তু আমাদের শরীর একটু রেস্ট পায়। এরপর আমরা যখন সুস্থ হই, তখন আমরা নতুন উদ্যমে থাকতে পারি। এমনি এই লকডাউনে আমাদের মন রেস্ট পেয়েছে। করোনা পরবর্তী কাজে আমরা ভালো কিছু করে দেখাতে পারবো।
কালচারাল ইয়ার্ড: অবসর সময় আপনার অতীত স্মৃতিতে কি কি ভেসে আসে। কোন সময়টা ধরা দেয় স্মৃতিতে?
প্রিয়াংকা জামান : করোনা সময়ে পরিবারের অনেকের সঙ্গে আমরা কনট্যাক্ট করতে পারছি না। তো এই দীর্ঘ লকডাউনে তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে মিস করছি। বিশেষ করে রাতের বেলায় স্বজনদের সঙ্গে কাটানো আগের স্মৃতিগুলো মনে গহীনে ভেসে আসে।
কালচারাল ইয়ার্ড : কালচারাল ইয়ার্ডকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রিয়াংকা জামান : কালচারাল ইয়ার্ডকেও ধন্যবাদ।