নব্বই দশকের শেষে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয় সে সময়ের ব্যবসা সফল ও আলোচিত সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। সেই সিনেমায় বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও ভারতের প্রিয়াংকা অভিনয় করেছেন। এই দুই চরিত্রের রসায়ন ছবিটিকে দারুণ এক রোমান্টিক সিনেমায় পর্যবসিত করে। আলোচিত এই সিনেমাটি নির্মাণ করে বাংলা চলচ্চিত্রে এক অন্যমাত্রা তৈরি করেন নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জী। আলোচিত প্রখ্যাত সেই চলচ্চিত্র নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জী প্রয়াত হলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সকালে মুম্বাইয়ে নিজের বাসায় ৯৩ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাসু চ্যাটার্জী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক পন্ডিত টুইটারে এ খবর প্রথম নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন ‘আপনাদের সবাইকে খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কিংবদন্তি পরিচালক বাসু চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত। দুপুর ২ টায় (বাংলাদেশ সময় আড়াইটায়) সময়ে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে স্যান্টাক্রুজের শশ্মানে। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের জন্যে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আপনাকে আমরা খুব মিস করব স্যার!’
এদিকে বাসু চ্যাটার্জীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ভারত ও পশ্চিমবাংলার তারকারা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই বর্ষিয়াণ পরিচালকের মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছেন।
এদিকে বাসু চ্যাটার্জীর সিনেমায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়া বাংলাদেশী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ এই নির্মাতার প্রয়াণে স্মৃতিচারণ করেছেন। শোকার্ত হৃদয়ে তিনি প্রয়াত এই পরিচালকের সঙ্গে নিজের সম্পর্ককে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক ছিলো বলে মন্তব্য করেন। তিনি ফেরদৌসের চলচ্চিত্রজীবনে এক মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন।
বাসু চ্যাটার্জী ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে আছেন। বাসু চ্যাটার্জী বাংলা সিনেমা ছাড়াও হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তাঁর নির্মিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে: ছোটি সি বাত, চিতচোর, রজনীগন্ধা, চক্রব্যূহ, উস পার, প্রিয়তমা, চামেলি কি শাদি ইত্যাদি।