নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাকালে প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক সরকারি অনুদান প্রদান করা হয়েছে এবার। করোনাকালে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পৃথক দু’টি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবীয় মূল্যবোধসম্পন্ন জীবনমুখী, রুচিশীল ও শিল্পমানসমৃদ্ধ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’ ও ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে অনুদান প্রাপ্তদের নামের তালিকা দেয়া হয়েছে।
এবারের চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা সর্বোচ্চ হওয়ার কারণ জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনার কারণে এ বছর চলচ্চিত্র শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। তাই এই শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ বছর নীতিমালা অনুযায়ী বিশেষ বিবেচনায় অধিক সংখ্যক চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়েছে।
এ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের বিষয়ে অনুষ্ঠিত শেষ সভায় কমিটির সব চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব যোগ দেন। এ সভায় চলচ্চিত্র অনুদান তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
এ বছরে অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ও নির্মাতাদের নামের তালিকা (সাধারণ শাখা): ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’-প্রদীপ ঘোষ, ‘হৃদিতা’-ইস্পাহানি আরিফ জাহান, ‘গাঙকুমারী’-ফজলুল কবীর তুহিন, ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’-মুশফিকুর রহমান গুলজার, ‘কাজলরেখা’-গিয়াস উদ্দিন সেলিম, ‘ছায়াবৃক্ষ’-বন্দন বিশ্বাস, ‘ফিরে দেখা’-রওশন আরা রোজিনা, ‘শ্যামা কাব্য’-বদরুল আনাম সৌদ, ‘আশির্বাদ’-মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, ‘লেখক’-ইফতেখার শুভ, এবং ‘বিলডাকিনী’-মনজুরুল ইসলাম।
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শাখা: ‘ফুটবল ৭১’-অনম বিশ্বাস, ‘একটি না বলা গল্প’-পংকজ পালিত এবং ‘যোদ্ধা’-এস এ হক অলিক।
শিশুতোষ শাখা: ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’-আওয়াল রেজা এবং ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’-নূরে আলম।

স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় বিসিটিআইয়ে ৪ চলচ্চিত্র
এদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় এবার ৯ জন নির্মাতাকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে চারটি চলচ্চিত্রের অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)-এর ৪ প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় যে সব চলচ্চিত্রকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে: (সাধারণ শাখায়): ‘আগন্তুক’-প্রবীর কুমার সরকার (বিপ্লব সরকার), ‘প্রাচীন বংশের নি:স্ব সন্তান’- শরীফ রেজা মাহমুদ ওরফে স্বজন মাঝি, ‘ধূসর দিগন্ত’-মো: সোহেল আহমদ সিদ্দিকী, ‘দুরে’-মিতালী রায়, ‘মরিয়ম’-চৈতালী সমাদ্দার।
প্রামাণ্যচিত্রে যে চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে: ‘প্রথম রুপকথার বই’-এবিএম নাজমুল হুদা, ‘পটুয়া’-মো: সাজেদুল ইসলাম, ‘অবিনশ্বর’-ফাখরুল আরেফিন খান।
এছাড়া শিশুতোষ শাখায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে: ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’-দেবাশিষ দাশ।
এদিকে এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অনুদানের ক্ষেত্রে কোন প্রামাণ্যচিত্র রাখা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরা।