নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘ভিড়ের মধ্যে মায়ের হাত থেকে হারিয়ে যাওয়া মুকুলের এক জাদুময় অভিযান মুকুলকে বুঝতে শেখায় তার মা সে তো জগত জননী। বাঁধা আর বন্ধুত্বের নানা অভিজ্ঞতাপূর্ণ মুকুলের এই দুর্ধর্ষ সুন্দর অভিযানে বাহন থাকে এক যাদুর ঘোড়া।’-এরকম এক শিশুতোষ গল্পের কাহিনী নিয়ে দেবাশিষ দাশ নির্মাণ করছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এবারের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’ অনুদান পায়। ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিশুতোষ বিভাগে এ অনুদান পেয়েছে বিসিটিআই প্রাক্তনী দেবাশিষ দাশ। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এর প্রাক্তনী সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক।
‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’ সিনেমাটি নিয়ে সিনেমাটির প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক দেবাশিষ দাশ জানান, শিশুদের মনোজগৎ নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’ সিনেমাটির চিত্রনাট্য। ছবিটির চিত্রনাট্য জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান ২০১৯-২০২০ এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় এই অনুদান সিনেমা নির্মাণের পথে একটি শক্তিশালী অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এ অনুদান আমাকে দেশের প্রতি ও দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের প্রতি দায়বদ্ধ করে তুলেছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান কমিটির স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগের সকল বিচারকদের প্রতি, বিসিটিআই’র সকল শিক্ষকদের প্রতি ও বন্ধু শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দেবাশীষ।
দেবাশীষ জানান, সিনেমার চিত্রনাট্যের পাশাপাশি তিনি এর একটি স্কেচ করেছেন। প্রকাশ হয়েছে সিনেমাটির একটি ফার্স্ট লুক টিজার। স্কেচ কৃতজ্ঞতায় আছেন মুনতাসির দীপ্ত। সম্পাদনা ও সঙ্গীতে- ডুব।
এবারের স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় ৯ জন নির্মাতাকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে চারটি চলচ্চিত্রের অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)-এর চার প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
বিসিটিআই’র বাকি তিন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মধ্যে ‘প্রাচীন বংশের নি:স্ব সন্তান’ এর জন্য শরীফ রেজা মাহমুদ ওরফে স্বজন মাঝি, ‘ধূসর দিগন্ত’ এর জন্য মো: সোহেল আহমদ সিদ্দিকী ও ‘পটুয়া’ সিনেমার জন্য মো: সাজেদুল ইসলামকে অনুদান দেওয়া হয়।
‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’র ফাস্র্ট লুক টিজার