বিশিষ্ট নারী কথাসাহিত্যিক ও সাবেক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক রত্নগর্ভা মা নিলুফার বেগম’র মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছোটগল্প অবলম্বনে সোহেল আহমদ সিদ্দিকী নির্মাণ করছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ‘ধূসর দিগন্ত’ নামের সিনেমাটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চাঁদপুরের একটি গ্রামের সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এবারের স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে ‘ধূসর দিগন্ত’ সিনেমাটি অনুদান পায়। ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি’র সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের এ প্রাক্তনী। তিনি চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে নির্মাতা সোহেল আহমদ সিদ্দিকী জানান, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চাঁদপুরের একটি গ্রামের সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমাটির চিত্রনাট্য রচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই বিধবা নারী শাশুড়ী ও পুত্রবধুর একমাত্র অবলম্বন নাতী/পুত্র গেনু মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে হারিয়ে যাওয়ার গল্প ‘ধূসর দিগন্ত’।
তিনি আরও জানান, ‘ধূসর দিগন্ত’ চলচ্চিত্রটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ।
এবারের স্বল্পদৈর্ঘ্য শাখায় ৯ জন নির্মাতাকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে চারটি চলচ্চিত্রের অনুদান পেয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)-এর চার প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
বিসিটিআই’র বাকি তিন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মধ্যে ‘প্রাচীন বংশের নি:স্ব সন্তান’ এর জন্য শরীফ রেজা মাহমুদ ওরফে স্বজন মাঝি, ‘মুকুলের যাদুর ঘোড়া’র জন্য দেবাশিষ দাশকে ও ‘পটুয়া’ সিনেমার জন্য মো: সাজেদুল ইসলামকে অনুদান দেওয়া হয়।