নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতের রক, লোকসঙ্গীত ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম শিল্পী আশা ভোঁসলে। চলচ্চিত্রের নেপথ্য গায়িকা হিসেবে তিনি অনন্য। আজ তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। তিনি ১৯৩৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মারাঠিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। ৬০ বছরের অধিক সময় ধরে তিনি পার করেছেন সঙ্গীত জীবন। এ জীবনে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছেন। এ সব গানের মধ্যে তাঁর অন্যতম বাংলা গান। বাংলা গান সমৃদ্ধ হয়েছে আশা ভোঁসলের কণ্ঠ থেকে।
এ দিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা।
জন্মদিনে একনজরে আশা ভোঁসলে :
আশা ভোঁসলের যখন নয় বছর বয়স তখন তার বাবা মারা যান।
তিনি ও তাঁর বড় বোন লতা মঙ্গেশকর পরিবারের হাল ধরেন। তারা দউ বোন চলচ্চিত্রে গান গাওয়া ও সঙ্গে শুরু করেন অভিনয় শুরু করেন।
তাঁর গাওয়া প্রথম গান মারাঠি ভাষার মাঝা বল (১৯৪৩)। বাংলা সিনেমার জন্য আশা ভোঁসলে নেপথ্য সঙ্গীত গেয়েছেন অনেক। তিনি বাংলা আধুনিক গান ও রবীন্দ্রসঙ্গীতেও অনন্য।
আশা ভোঁসলের জনপ্রিয় বাংলা গানের মধ্য রয়েছে: আকাশে সূর্য আছে যতদিন, আকাশে আজ রঙের খেলা, ছন্দে ছন্দে গানে গানে, চোখে চোখে কথা বল, যে গান তোমায় আমি শোনাতে চেয়েছি, খুব চেনা চেনা মুখখানি তোমার, কিনে দে রেশমী চুড়ী, লক্ষ্মীটি দোহাই তোমার, মহুয়ায় জমেছে আজ, মনের নাম মধুমতি, ফুলে গণ্ধ নেই, বাঁশী শুনে কি, চোখে নামে বৃষ্টি, রিমি ঝিমি এই শ্রাবণে, তুমি কত যে দুরে, কি যাদু তোমার চোখে, একটা দেশলাই কাঠি জ্বালাও, গা পা গা রে সাসহ অসংখ্য।
খ্যাতিমান গায়ক এবং সুরকার শচীন দেব বর্মনের ছেলে, বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার রাহুল দেব বর্মন ছিলেন তার দ্বিতীয় স্বামী। তাদের সংসারে রয়েছে তিন সন্তান।
সাতবার ফিল্মফেয়ার সেরা নেপথ্য গায়িকার পুরস্কার অর্জন করেছেন আশা ভোঁসলে ।
১৯৭৭ সালের পর তিনি জানিয়ে দেন যে, তাঁকে যেন ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য আর গণ্য করা না হয়। ২০০১ সালে তিনি অর্জন করেছেন ‘ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’।
২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ডকারী হিসেবে গণ্য হন। ২০০৮ সালে আশা ভোঁসলে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।