নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি গীতিকার ও সুরকারদের সংগঠন গীতিকবি সংঘ ও মিউজিক কম্পোজারস অ্যাসোসিয়েশন আত্নপ্রকাশ করেছেন। এবার এক হলেন কণ্ঠশিল্পীরা। কণ্ঠশিল্পীদের নিয়ে গঠিত হলো কণ্ঠশিল্পী পরিষদ নামের একটি প্লাটফর্ম।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) কণ্ঠশিল্পীরা ঐকমত্য হয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন গণমাধ্যমে। এ বিবৃতিতে তারা‘কণ্ঠশিল্পী পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের না ঘোষণা করেন। এই সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা হয় স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নাম। এই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ ও নন্দিত গায়ক হাসান আবেদুর রেজা জুয়েল।
এছাড়া কমিটিতে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে দেশবরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, খুরশীদ আলম, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, লিনু বিল্লাহ, শাহীন সামাদ, পাপিয়া সারোয়ার, ফেরদৌস আরা, তপন মাহমুদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা ও ইয়াকুব আলী খানকে।
সংগঠনটির নবনিযুক্ত আহ্বায়ক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। এ দীর্ঘ ৫০ বছরেও অবহেলিত সংগীতাঙ্গনের মানুষদের জন্য কোনও সুষ্ঠু রূপকল্প বা নীতিমালা তৈরি করা যায়নি। সংস্কৃতির অন্য সব ধারায় শক্তিশালী সংগঠন আছে, রয়েছে ঐক্য। তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করতে পারেন। কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে এক বৃহৎ ঐক্যের দুয়ার খুলে গেছে।
তিনি বলেন, সময়ের প্রতিকূলতার কারণে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠশিল্পীদের অন্তর্ভুক্তি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
সংগঠনটির ২৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে রয়েছেন- ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, সাদি মহম্মদ, কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, রুমানা মোরশেদ কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, অদিতি মহসিন, খায়রুল আনাম শাকিল, শফি মণ্ডল, রবি চৌধুরী, এস আই টুটুল, আগুন, আঁখি আলমগীর, চন্দন সিনহা, দিনাত জাহান মুন্নী, অনিমা রায়, প্রিয়াংকা গোপ, মঈদুল ইসলাম খান শুভ, জয় শাহরিয়ার, কিশোর দাস, সোমনুর মনির কোনাল ও ইলিয়াস হোসাইন।